পুলিশ ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠিয়েছে। গৃহবধূ বিদেশে লোক পাঠানোর নাম করে মানুষের কাছ থেকে ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ঘটনার তদন্তে পুলিশ গৃহবধূর স্বামী সানোয়ার হোসেনকে আটক করেছে।
শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে গৃহবধূর বাবা রাজিবপুর থানায় হত্যা মামলা করলে স্বামীকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, উপজেলার কোদালকাটি ইউনিয়নের তেরোরশি গ্রামের সানোয়ার হোসেন এর স্ত্রী শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে বাইরে বের হন। প্রায় এক ঘণ্টা অতিবাহিত হলেও ফিরে না আসায় তার স্বামী তাকে খুঁজতে বের হন। পরদিন শনিবার দুপুরে বাড়ি থেকে দুইশত গজ দূরে একটি ধান ক্ষেতে স্ত্রীর লাশ দেখে পুলিশে খবর দেন সানোয়ার হোসেন। খবর পেয়ে রাজিবপুর থানা পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
ইউপি সদস্য আবু সাইদ মধু জানান, ওই গৃহবধূর ভাই হারুন বিদেশে থাকেন। সে বিদেশে লোক পাঠানোর নামে গ্রামের প্রায় ৩২ জনের কাছ থেকে সে প্রায় ১০ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নিয়ে তার বাবা ও ভাইকে দিত। এ ব্যাপারে এলাকায় বেশ কয়েকবার স্থানীয় শালিস বৈঠক হয়। এনিয়ে জবেদা ও তার স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কিছুদিন ধরে অশান্তি ও মনোমালিন্যও চলছিল। তবে এ ঘটনায় পাওনাদাররা তাকে তুলে নিয়ে হত্যা করতে পারে বলে এলাকাবাসীর ধারণা।
এ ব্যাপারে রাজিবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পৃথ্বীশ কুমার সরকার বলেন, মামলা হওয়ায় জবেদার স্বামী সানোয়ারকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।