রাজশাহী: রাজশাহীতে গত তিনদিনে চার খুনের পরও পুলিশের দৃশ্যমান কোনো তৎপরতা না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন সদর আসনের সংসদ সদস্য ও ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা।
সোমবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে মহানগরীর একটি রেঁস্তরায় রাজশাহীর আইন-শৃঙ্খলা বিষয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ দোষারোপ করেন।
ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, ‘রাজশাহীর আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি হয়েছে। একের পর এক হত্যা ছাড়াও বড় ধরনের ঘটনা ঘটে যাচ্ছে। এতে বোঝা যায় আইন-শৃঙ্খলা স্বাভাবিক অবস্থানে নেই।
রাজশাহী মহানগর পুলিশ কর্মকর্তাদের সমালোচনা করে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, সংসদ সদস্য হিসেবে পুলিশ তাকে তোয়াক্কা করে না। শহরে এতো কিছু ঘটে যাচ্ছে অথচ তার পরামর্শ ও দিক নির্দেশনা নেওয়ার প্রয়োজনও বোধ করেন না।
পুলিশ তার কোনো পরামর্শ শোনে না উল্লেখ করে তিনি প্রশ্ন রাখেন, পুলিশ বাহিনী কী জনপ্রতিনিধি ও জনমতের ঊর্ধ্বে? কথা উঠেছে মাছের রাজা ইলিশ, আর দেশের রাজা পুলিশ। আমি সংসদ সদস্য হিসেবে সেই কথা বলতে পারিনা ঠিকই, তবে কথাটি বাস্তব সম্মত।
রাজশাহী মহানগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আপনারা দায়িত্ব পালনে সক্রিয় হোন। আপনাদের অনেক ত্রুটি বিচ্যুতি রয়েছে, আমরা সেগুলো জানি। সেগুলো কাটিয়ে ওঠার কাজ করুন। জনগণের নিরাপত্তা দিন। না হলে সাধারণ মানুষ আস্থা হারাবে।
তিনি বলেন, আমি আশা করছি এই মুহূর্ত থেকে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী সক্রিয় হবে, শহরে তাদের তৎপরতা দেখতে চাই। তা না হলে তাদের দায়িত্ব পালনে বাধ্য করতে হবে।
রাজশাহীর এসব ঘটনা, আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও পুলিশের কর্মতৎপরতা নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলবেন। সংসদ অধিবেশনেও এই নিয়ে বক্তব্য রাখবেন বলে জানান তিনি।
প্রসঙ্গক্রমে ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, আমি নগরীতে টেন্ডারবাজি ও ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছি, এই লড়াইয়ে আপনাদের (সাংবাদিক) ও পুলিশকে পাশে পেতে চাই।
অবিলম্বে শিক্ষক হত্যাকারী, অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- ওয়ার্কার্স পার্টির রাজশাহী মহানগর সভাপতি লিয়াকত আলী লিকু, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ প্রামাণিক দেবু, জেলা ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জোহা প্রমুখ।