আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব হারাচ্ছে বিএনপি?

রবিবার, ৮ মে ২০১৬, সকাল ০৭:২৩

 ডেস্ক: নতুন নির্বাচনের জন্য সরকারকে চাপে রাখতে এত দিন দেশি ও আন্তর্জাতিক মহলে জোর লবিং করলেও এখন অনেকটাই চুপ দেশের অন্যতম প্রধান দল বিএনপির কূটনৈতিক কোর। এই কোরের অনেকে আছেন গ্রেপ্তার আতঙ্কে। দলে এর প্রভাব পড়ছে বলে মনে করছেন কেউ কেউ। এক দিনের ব্যবধানে কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ আল-সাবাহ ও যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বাংলাদেশ সফর করলেও তাদের সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ হয়নি বিএনপির চেয়ারপারসনের। নিশা দেশাই এর আগে ২০১৪ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর যখন বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন, সেবার খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এবার সাক্ষাৎ না হওয়ায় বিএনপির কারও কারও অভিযোগের আঙুল দলের কূটনৈতিক কোরের সদস্যদের দিকে। আন্তর্জাতিকভাবে জোরালো যোগাযোগ তৈরি করতে না পারার ব্যর্থতা হিসেবেও একে দেখছেন কেউ কেউ। বর্তমান সংসদের শুরুতে জাতীয় পার্টিকে ‘প্রকৃত’ বিরোধী দল মনে না করায় বিদেশি কোনো কোনো ডেলিগেট রওশন এরশাদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়সূচি রাখতেন না। তবে সংসদে না থাকলেও বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করতেন। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দেশের প্রভাবশালী ব্যক্তি বা সংস্থার অতিথিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হচ্ছে না খালেদা জিয়ার। এ কারণে দলের ভেতরে-বাইরে প্রশ্ন উঠছে্- বিএনপি আন্তর্জাতিক মহলে গুরুত্ব হারাচ্ছে কি না। গত বুধবার নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশ আসেন মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিশা দেশাই বিসওয়াল। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তরাষ্ট্র বারবার উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছিল। একই সঙ্গে বাংলাদেশে জঙ্গি ও সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর উত্থান ঠেকাতে সরকারকে স্বাধীনভাবে মত প্রকাশ ও রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের পূর্ণ সুযোগ দিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির জন্য আহ্বান জানিয়ে আসছিল এই বিশ্ব মোড়ল। এরই মধ্যে মার্কিন দূতাবাসের সাবেক কর্মকর্তা জুলহাজসহ সাম্প্রতিক একাধিক হত্যাকাণ্ডের পর নিশা দেশাইয়ের সফর নিয়ে সবার মধ্যে কৌতূহল ছিল। সফরকালে নিশা দেশাই প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি এসব হত্যাকাণ্ডের তদন্তে বাংলাদেশকে সব ধরনের সহায়তা দেয়ার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন।একই সঙ্গে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডের দিকে যুক্তরাষ্ট্রের নজর থাকবে বলেও জানান তিনি। এদিকে নিশা দেশাই বাংলাদেশে পৌঁছার আগে তার সফরে কাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে পারে, তা নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় গণমাধ্যমে। এতে বাংলাদেশ সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তি, বিরোধীদলীয় বেশ কয়েকজন নেতা, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে সাক্ষাতের কথা বলা হয়। কেউ কেউ বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে নিশার সাক্ষাৎ হতে পারে বলেও খবর প্রকাশ করে। তবে শুরু থেকেই মার্কিন দূতাবাসের পক্ষ থেকে তার (নিশা দেশাই) কর্মসূচি ওয়াশিংটন থেকে চূড়ান্ত করা হয়েছে বলে জানানো হয়। এদিকে গত বুধবার বাংলাদেশ সফরে আসেন কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী শেখ জাবের আল-মুবারক আল-হামাদ আল-সাবাহ। সফরকালে তিনি রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। নিশা দেশাইয়ের সাক্ষাৎ না পেলেও কুয়েতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা রওশন এরশাদ সাক্ষাৎ করেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের কোনো সূচি ছিল না কুয়েতি প্রধানমন্ত্রীর। এর আগে এ পর‌্যায়ের ব্যক্তিদের সফর নিয়ে বিএনপির মধ্যে যেভাবে আলাপ-আলোচনা হতো, এবার অবশ্য শুরু থেকে তেমনটি দেখা যায়নি। কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী ও মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাতের সূচি আছে কি না এমন প্রশ্নেও বিএনপির পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর মেলেনি। তবে দলীয় সূত্র বলছে, শেষ পর‌্যন্ত এই দুই বিদেশি অতিথির সঙ্গে বিএনপির বৈঠকের জন্য আশা ছিল। কিন্তু শেষ অবধি তা আর হয়নি। তবে বিএনপির কূটনৈতিক কোরের সদস্যরা বলছেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বৈঠকের জন্য কোনো চেষ্টা করা হয়নি। কারণ প্রয়োজন পড়েনি। এই দুই বিদেশি নেতার সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ না হওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও কূটনৈতিক কোরের একজন সদস্য শনিবার বিকালে বলেন,“কেন আমরা চেষ্টা করব সাক্ষাতের জন্য? কী প্রয়োজন আছে?’ তাহলে কি বিএনপি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে গুরুত্ব হারাচ্ছে, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, “আপনারা যদি মনে করেন, তাহলে তা-ই।” সংসদের বাইরে থাকলেও গত বছরের ৭ জুন বি্এনপির সঙ্গে বৈঠক করেন বাংলাদেশ সফরে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। কিন্তু এবার দুই বিদেশি নেতার সঙ্গে কোনো বৈঠক হয়নি বিএনপির। দলীয় সূত্রে জানা যায়, সাবেক পররাষ্ট্রসচিব শমসের মবিন চৌধুরীর দল থেকে পদত্যাগের পর থেকে কূটনৈতিক অঙ্গনে বিএনপির কার‌্যক্রমে কিছুটা ভাটা পড়ে। তার আগে রিয়াজ রহমানের ওপর গুলিবর্ষণ, সাবিহ উদ্দিনের বিএনপি না করার মুচলেকা দেয়ার খবরের পর এই কোর অনেকটা ভেঙে পড়ে বলে মনে করা হয়। গুলশান কার‌্যালয়ের একজন কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,“শমসের মবিন চৌধুরীর পদত্যাগের পর থেকেই এমন অবস্থা। অবস্থা দেখে মনে হয় কেউ দায়িত্ব নিতে চায় না। সবাই দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন।” এ নিয়ে কথা বলতে কূটনৈতিক বিষয়গুলো দেখভাল করেন বিএনপির এমন একাধিক নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। বিদেশি রাষ্ট্রীয় অতিথিদের সঙ্গে খালেদা জিয়ার সাক্ষাৎ না হওয়ার অর্থ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বিএনপির গুরুত্ব কমে যাচ্ছে কি না, এমনটা মনে করেন না ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী। অধ্যাপক গোবিন্দ বলেন, “হয়তো দলের যারা এই বিষয় নিয়ে কাজ করেন, তারা অনেকে নিষ্ক্রিয় হয়ে যাওয়ায় এমনটা হতে পারে। আবার খালেদা জিয়া হয়তো সাক্ষাৎ না করারও চিন্তা করতে পারেন। এ ছাড়া সবাই তাদের জাতীয় স্বার্থের আলোকে কাজ করে থাকেন। নিশা দেশাই বিসওয়ালের এবারের সফরের ইস্যুর মধ্যে হয়তো তার (খালেদা জিয়া) সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি ছিল না।” অধ্যাপক গোবিন্দ চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপির যে অবস্থান, তাতে দলটিকে একদম কর্নারে ফেলে দেবে এমন ধৃষ্টতা কোনো দেশ দেখাবে বলে আমি মনে করি না।” খবর- ঢাকা টাইমস  

মন্তব্য করুন


 

Link copied