রোববার সকাল সাড়ে দশটার সময় নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকর্মী ও প্রত্যেক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলা আওয়ামীলীগের কোনো কোনো নেতা-কর্মীর ইন্ধনে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাাধারন সম্পাদক মো.আইয়ুব আলী সহচরসহ তার ভাগ্নে বিএনপি প্রার্থী মো. মুসাব্বের আলী মুসা’র ধানের শীষ মার্কায় ভোট প্রার্থনা করেন। ফলে নির্বাচন শেষে ভোট গণণায় নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দলের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মো.হাছেন আলী ৪৮৩ ভোটের ব্যবধানে বিএনপি’র মো. মুসাব্বের আলী মুসা’র ধানের শীষ মার্কার কাছে পরাজিত হন। নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকর্মী অভিযোগ করেন,৭মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেও মো.আইয়ুব আলীসহ আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ করা হয়েছিল। কিন্তু দলের জেলা ও উপজেলার নেতৃবৃন্দ কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই রোববার সকালে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের একাধিক নেতাকে মারপিট করে আওয়ামীলীগের কার্যালয় থেকে বের করে দেয়।
নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও দলের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী মো.হাছেন আলী অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা আওয়ামীলীগের কোনো কোনো নেতা-কর্মীর ইন্ধনে দলের সাাধারন সম্পাদক মো.আইয়ুব আলী দলের বিরুদ্ধে গিয়ে গোপনে তার ভাগ্নে ও বিএনপি’র মো. মুসাব্বের আলী মুসা’র ধানের শীষ মার্কার প্রচরনা চালিয়ে নৌকা মার্কাকে পরাজিত করেছেন। তিনি দলের সাথে প্রতারণা করেছেন। এর যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। এর কারণে নৌকার পরাজয় ঘটেছে। নৌকা মার্কার কর্মীরা বিএনপি’র নেতা কর্মীর হাতে মার খাচ্ছে’।
মো.হাছেন আলী আক্ষেপ করে বলেন, ‘কার কাছে বিচার চাইবো ! যাদের কাছে অভিযোগ জানিয়ে বিচার চাইবো তারাই তো এটার সঙ্গে জড়িত’।
লাঞ্চিত হওয়ার কথা স্বীকার করে নাওডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাাধারন সম্পাদক মো.আইয়ুব আলী বলেন,‘আমারই ভুল হয়েছে নৌকা মার্কার প্রার্থী হিসাবে মো.হাছেন আলীকে মনোনয়ন দেয়া’।
প্রসঙ্গতঃ ৭ মে শনিবার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার নাওডাঙ্গা,শিমুলবাড়ী ও বড়ভিটা তিনটি ইউনিয়নের নাওডাঙ্গা ও বড়ভিটা দুইটিতেই আওয়ামীলীগের পরাজয় ঘটে।
