আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

টালমাটাল বিএনপি

শনিবার, ২১ মে ২০১৬, সকাল ০৯:২০

এছাড়া দলের মধ্যে পদ ও মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ ওঠেছে। এ ইস্যুতেও চাপে আছে হাইকমান্ড। সর্বশেষ যুগ্ম-মহাসচিব আসলাম চৌধুরীর সঙ্গে ইসরাইলি গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের সাক্ষাৎ ও তার গ্রেফতার নিয়ে নেতাদের মধ্যে অস্বস্তি বাড়ছে। জাতীয়তাবাদী সমর্থক শফিক রেহমানের গ্রেফতারের পর ড. ওসমান ফারুকের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের তদন্ত হচ্ছে এমন খবরেও ধাক্কা খায় দলটি। পাশাপাশি দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি মামলা দ্রুতগতিতে নিষ্পত্তি হওয়া নিয়েও নেতাকর্মীরা শংকিত।

এ অবস্থায়  দলকে গতিশীল করার চেয়ে চাপ সামলাতেই হিমশিম খাচ্ছে হাইকমান্ড। তবে এসব চাপ মোকাবেলায় কার্যকর কোনো উদ্যোগ চোখে পড়ছে না। দলের একটি অংশের মতে, সাফাদির সঙ্গে আসলামের সাক্ষাতের বিষয়টি ব্যক্তিগত হলেও এর দায় বিএনপি এড়াতে পারবে না।

ক্ষমতাসীনরা ইতিমধ্যেই অভিযোগ করছে, মোসাদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে বিএনপি সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে। সরকারের পক্ষ থেকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে দলের করণীয় কী হবে তা নিয়ে নীতিনির্ধারকদের কোনো উদ্যোগ দেখা যাচ্ছে না। এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে হাইকমান্ড কোনো বৈঠকেও বসেনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি অতীতেও নানা প্রতিকূলতা অতিক্রম করে এসেছে, এখনও করছে। সরকার পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে কোণঠাসা করতে নতুন নতুন ইস্যু সৃষ্টি করছে। তাদের উদ্দেশ্য বিএনপি যাতে ঘুরে দাঁড়াতে না পারে। তিনি বলেন, চাপ দিয়ে বিএনপিকে থামানো যাবে না। চাপ মোকাবেলা করে দলটি ঠিকই ঘুরে দাঁড়াবে। আসলাম চৌধুরী ইস্যুতে দল চাপে রয়েছে কিনা জানতে চাইলে ফখরুল বলেন, এ ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান সবার কাছেই স্পষ্ট করা হয়েছে। এই নিয়ে কূটনৈতিক অঙ্গন বিশেষ করে মুসলিম দেশগুলোকেও দলের অবস্থান জানানো হয়েছে। আশা করি,  মুসলিম দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কে কোনো টানাপোড়েন হবে না।

দলের জ্যেষ্ঠ নেতারা মনে করছেন, আসলাম ইস্যুতে নতুন করে চাপে পড়েছে বিএনপি। এ ইস্যু কাটিয়ে উঠতে বেশ বেগ পেতে হবে। মোসাদ কানেকশনে বিএনপির আরও কয়েক নেতা জড়িত, তাদেরও গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়েছে- সরকারের এমন ঘোষণায় অনেকেই আছেন গ্রেফতার আতংকে। বিষয়টি সম্পর্কে কিছু না জেনেও হয়রানির স্বীকার  হতে পারেন এমন আশঙকা অনেক নেতার। তাই আসলাম ইস্যুতে দলের নেতাদের অধিকাংশই মুখ বন্ধ রেখেছেন। সত্য-মিথ্যা যাই হোক বিষয়টি আসলামের ব্যক্তিগত- এমন অবস্থানই তাদের। যুগ্ম-মহাসচিব হওয়ার পরও আসলাম  গ্রেফতারে দলের পক্ষ থেকে নিন্দা কিংবা আনুষ্ঠানিকভাবে প্রতিবাদ জানানো হয়নি। তবে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য হান্নান শাহ, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, কেন্দ্রীয় নেতা শাহ মোয়াজ্জেম ও সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিজ নিজ অবস্থান থেকে আসলামের বিষয়টি নিয়ে কথা বললেও বাকি নেতারা প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। উল্টো আসলাম ইস্যুকে কেন্দ্র করে দলের একটি অংশ ব্যক্তিগত ফায়দা নেয়ার চেষ্টা করছে। তাকে বহিষ্কার করতে তৎপরতা চালাচ্ছে ওই অংশটি।  তবে  দলের হাইকমান্ড আসলাম ইস্যুতে বেশ সতর্ক। জাতীয় কাউন্সিলকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে যে চাঙাভাব তৈরি হয়েছিল তা ধীরে ধীরে ম্লান হতে বসেছে।

তিন দফায় ৪১ নেতার নাম ঘোষণা করে দলটি। কমিটি ঘোষণার পর একটি অংশ ক্ষুব্ধ হয়। ঘোষিত কমিটিতে কারও কারও  ক্ষেত্রে অতিমূল্যায়ন, জ্যেষ্ঠতা লংঘন, পদ-পদবি নিয়ে বাণিজ্যের অভিযোগে দলের মধ্যেই সমালোচনার ঝড় বইছে। দলের একটি অংশের চাপের মুখে স্থায়ী ও নির্বাহী কমিটি গঠনে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেন খালেদা জিয়া। কাউন্সিলের পর দুই মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও পূর্ণাঙ্গ নির্বাহী ও স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করতে পারেনি দলটি। কমিটি গঠনের পাশাপাশি ইউপি নির্বাচনে মনোনয়ন বাণিজ্যের অভিযোগ নিয়েও চাপে রয়েছে হাইকমান্ড। বিষয়গুলো খতিয়ে দেখতে তদন্ত কমিটি গঠনের দাবিও জানান কেউ কেউ। দলের ভেতরে এসব চাপের পাশাপাশি সম্প্রতি কয়েকটি ঘটনায়ও উদ্বীগ্ন বিএনপির হাইকমান্ড।

প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন সাংবাদিক শফিক রেহমান। এ ইস্যুতে সরকার শেষ পর্যন্ত দলের সিনিয়র কোনো নেতাকে জড়ায় কিনা সে আশংকায়ও আছেন অনেকে।

জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান বলেন, কাউন্সিলে বিএনপি ঘুরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেয়। কিন্তু নানা পরিস্থিতির কারণে এখনও তা সম্ভব হয়নি। অভ্যন্তরীণ কিছু ঘটনা দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নানা সন্দেহ-অবিশ্বাস কাজ করছে। কমিটি গঠনে বিলম্ব হওয়ায় নানা প্রশ্ন উঠছে।

তিনি বলেন, দলের ভেতরের পাশাপাশি বাইরের চাপও অব্যাহত রয়েছে। সরকার নানা ইস্যুতে বিএনপিকে চাপে রাখার কৌশল নিয়েছে। সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে কীভাবে এসব চাপ মোকাবেলা করা যায় সেদিকে চেয়ারপারসনকে গুরুত্ব দেয়ার আহ্বান জানান বিএনপির এই নীতিনির্ধারক।

খবর-যুগান্তর

মন্তব্য করুন


 

Link copied