গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে পুলিশ,বিজিবি, আনছার ব্যাটালিয়ান ও আর্ম পুলিশ ব্যাটালিয়ান যৌথভাবে লাঠিচার্জ করে নাগড়াকুড়া বাজার ও বাকরের হাট এলাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
জানা গেছে, নির্বাচনের পরদিন বিকাল ৫ টার দিকে গুনাইগাছ ইউনিয়নের নাগড়াকুড়া বাজারে আ’লীগ মনোনিত পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী রেজিনা বেগমের নেতৃত্বে একদল স্বসস্ত্র ব্যক্তি বিএনপি সমর্থকদের উপর হামলা চালায়। এ সময় উভয় পক্ষের আতাউর রহমান(৩০), মিজানুর রহমান বিজু(৩৫), লিটন মিয়া(২০),জামেনা বেগম(৫০) ও মিজানুর রহমান(২৮) আহত হয়। তারা বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছে। সংঘর্ষের সময় ঐ বাজারের ছোট-বড় ১২টি দোকান, ২টি বাড়ি ও একটি ছ’মিলে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর করে। এসময় দোকানে থাকা মালামাল জনতা লুটপাট করে নিয়ে যায়। পরে যৌথ বাহিনীর দাঙ্গা পুলিশ ঘটনা স্থলে পৌছে লাঠি চার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে।
অন্যদিকে থেতরাই ইউনিয়নের থেতরাই বাজারে রোববার সকাল ১১টার দিকে বিজয়ী ইউপি সদস্য প্রার্থী আনোয়ার বসুনিয়ার লোকজন পরাজিত প্রার্থীর চাচাতো ভাইয়ের ফার্মেসীতে হামলা চালায়। এসময় সেখানে থাকা পরাজিত প্রার্থী নুরুন্নবী আজাদ, আমিনুল ইসলাম ও নূর আলম আহত হয়। হামলাকারিরা এসময় ফার্মেসী থেকে দেড় লক্ষাধিক টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। দলদলিয়া ইউনিয়নে আ’লীগের পরাজিত প্রার্থীর সমর্থক ও স্বতন্ত্র পরাজিত প্রার্থী হাফিজুরের সমর্থক পৌরসভার বাকরের হাট বাজারে রোববার সন্ধ্যায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় কমবেশি ৬ জন আহত হয়। পরে যৌথ বাহিনী রাত সাড়ে ৭টার দিকে ঐ বাজারে গিয়ে কাউকে না পেয়ে দোকান থেকে নিরাপরাধ লোকজনকে বের করে-করে প্রহার করে। এতে ব্যবসায়ী, এক সেনা সদস্যসহ প্রায় ২০জন মারাত্বক আহত হয়। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছে।
এদিকে একইদিন বজরা ইউনিয়নের কালপানি বজরা, তবকপুর ইউনিয়নের সাদুল্ল্যায় পরাজিত ও বিজয়ী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে যৌথ বাহিনীর টহল অব্যাহত রয়েছে।