তিনি মানিকগঞ্জ উপজেলার সাটুরিয়া উপজেলার হরগজ গোসাইনগর গ্রামের জনৈক নাজিম উদ্দিনের স্ত্রী। ধারণা করা হচ্ছে কথিত জ্বিনের বাদশার আহবানে লাইলী বেগম গোবিন্দগঞ্জে এসে টাকা পয়সা সবকিছু খোয়া যাওয়ার পর হার্ট এ্যাটাকে মারা গেছেন। অথবা তার কাছ থেকে সবকিছু ছিনিয়ে নিয়ে কথিত জ্বিনের বাদশারা তাকে সুকৌশলে হত্যা করে জমিতে ফেলে রাখে। পুলিশ মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের ময়না তদন্তের জন্য গাইবান্ধায় মর্গে পাঠিয়েছেন।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রোববার রাতে রাস্তার ধারে জমির মধ্যে ওই ওই মহিলার লাশ পড়ে থাকতে দেখে এলাকার লোকজন পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ এসে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। মহিলার কাছে রাখা কিছু ছেঁড়া কাগজপত্রে মোবাইল ফোনের নাম্বার পেয়ে পুলিশ তার পরিচয় উদঘাটন করে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে গত রোববার সকালে কারও সাথে কোন আলোচনা না করে লাইলী বেগম বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। ধারণা করা হচ্ছে গোবিন্দগঞ্জের কথিত জ্বিনের বাদশার সদস্যরা তাকে সুকৌশলে অর্থ প্রাপ্তির প্রলোভন দিয়ে অথবা তার সন্তানের ক্ষতির ভীতি দেখিয়ে তাকে গোবিন্দগঞ্জে নিয়ে আসে। পরে তার কাছ থেকে তারা টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়।