সোমবার সন্ধ্যার আগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উল্লাপাড়া উপজেলা পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুকুমার রায় জানান, সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে ওই হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে অনুমোদনের কাগজপত্র না থাকায় হাসপাতালটি সিলগালা করা হয়। একই সাথে হাসপাতালের কর্তৃপক্ষকে তিন হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আকরাম হোসেন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন। এ সময় সিভিল সার্জন ডা. শহিদ মোহাম্মদ সাদিকুল ইসলাম, উল্লাপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দেওয়ান কৌশিক আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, অনুমোদন ছাড়াই স্থানীয় বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম কয়েকজনকে পার্টনারশীপ নিয়ে হাসপাতালটি চালু করেন। হাসপাতালে প্রয়োজনীয় নার্স-টেকনিশয়ান ছাড়াও চিকিৎসার নামে প্রতারনা করছিল। এ অবস্থায় গত শনিবার স্থানীয় সাংবাদিক জয়নুল আবেদীনের স্ত্রী প্রসবজনিত কারণে ওই হাসপাতালে ভর্তি হন। ভর্তির পরই তাকে অজ্ঞান করে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে ওই ক্লিনিকের চিকিৎসক ডা. রাশিদার মাধ্যমে সিজার করলে ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। কিন্তু নার্সদের অবহেলায় সদ্যজাত শিশুকে সারারাত এসির মধ্যে রাখা হয়। ফলে শিশুটি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন। পরে বিপাকে পরে চিকিৎসকরা ছেলে ও মাকে বগুড়ায় হস্তান্তর করেন। বগুড়া নেয়ার পথেই শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনার পরই বিষয়টি আলোচনায় ওঠে আসে।