আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

হাঁড়িভাঙা আম : পাল্টে দিচ্ছে রংপুরের অর্থনীতি

রবিবার, ১৯ জুন ২০১৬, বিকাল ০৬:৫৯

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের তথ্য মতে, রংপুরের তিন উপজেলায় সাড়ে ৪ হাজার হেক্টরের বেশি জমিতে আম চাষ হয়েছে। হাঁড়িভাঙা আমের ব্যাপক চাহিদা থাকায় শিল্পপতিরা এসব এলাকায় জমি কিনে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান করছেন। এই আম বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে।

হাঁড়িভাঙা আমের সু-স্বাদের কারণে রাজশাহীর ফজলি, ল্যাংড়া, গোপালভোগ, খিরসা, অরুনা, আম্রপালি, মল্লিকা, সুবর্ণরেখা, মিশ্রিদানা, নিলাম্বরী, কালীভোগ, কাচামিঠা, আলফানসো, বারোমাসি, তোতাপূরী, কারাবাউ, কেঊই সাউই, গোপাল খাস, কেন্ট, সূর্যপূরী, পাহুতান, ত্রিফলা আম বিক্রিতে ভাটা পড়েছে। রাজশাহী অঞ্চলের আমচাষিরা রংপুর থেকে হাঁড়িভাঙা আমের চারা নিয়ে পরীক্ষামূলকভাবে ওই এলাকায় চাষের চেষ্টা চালাচ্ছে। রাজশাহীর দু’এক জায়গায় এ ফলন হলেও রংপুরের হাঁড়িভাঙার মতো স্বাদ নেই।

রংপুরের পদাগঞ্জ ও বদরগঞ্জের স্টেশন বাজার এ অঞ্চলের হাঁড়িভাঙা আমের বড় পাইকারি হাট। এই হাট থেকে প্রতিদিন ট্রাকে করে হাঁড়িভাঙা আম নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। রংপুরের ফলের আড়ত ছাড়াও টার্মিনালের পশ্চিম কোনে বসেছে হাঁড়িভাঙার মিনি হাট। এখান থেকেও পাইকাররা আম নিয়ে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা।

পদাগঞ্জে গেলে চোখে পড়বে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে হাঁড়িভাঙা আমের বাগান। এ অঞ্চলের কুতুবপুর, খোড়াগাছ পাইকারের হাট, পদাগঞ্জ, কদমতলী, পীরের হাট, তালপুকুর, মাঠের হাট, আখড়ের হাট ছাড়াও সমস্ত এলাকা জুড়ে হচ্ছে এ আমের চাষ। এখানকার মাটি আম চাষের সম্পূর্ণ উপযোগী হওয়ায় ওই এলাকার চাষিরা অন্য ফসলের চেয়ে আমবাগানে সবচেয়ে মনোযোগী হয়ে উঠছেন।

IMG_0241পদাগঞ্জের আমচাষি আনসার বকশী জানান, তিনি ৮ একর জমিতে আমের বাগান করেছেন । গত বছর তিনি দুই লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন। এ বছর তিনি আড়াই লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন। হাঁড়িভাঙা আম কিনতে রাজশাহী থেকেও ক্রেতারা পদাগঞ্জে আসছেন।

জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত বাগান মালিক সালাম সরকার কয়েকটি বাগানের আম বিক্রি করেছেন সাড়ে ১৫ লাখ টাকায়। তিনিই এ এলাকার সবচেযে বড় আমবাগানের মালিক। তার বাগানের আম জেলা শহরসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি হচ্ছে। বড় আমবাগানের মালিকদের মধ্যে  খোড়াগাছ পাইকার হাটের নওশাদ,  তার ভাই শওকত, বাবুল মিয়া ও আনছার অন্যতম। তারা প্রত্যেকে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার আম বিক্রি করেছেন।

রংপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞ মেজবাহুল ইসলাম জানান, সারাদেশে হাঁড়িভাঙা আমের বিস্তার ঘটেছে। হাঁড়িভাঙা আমে রোগবালাই কম হয়। চারা লাগানোর পরের বছরই গাছে মুকুল আসে। আর ৫-৬ বছর বয়সে গাছে পুরোদমে আম আসতে শুরু করে। এ ছাড়া বোঁটা শক্ত হওয়ায় গাছ থেকে তা অকালে ঝরে যায় না। পূর্ণাঙ্গ একেকটি আমের ওজন চারশ থেকে সাড়ে পাঁচশ গ্রাম হয়ে থাকে ।

তিনি আরো জানান, এ বছর রংপুরে ২৮০ কোটি টাকার আম উৎপাদন হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied