আর্কাইভ  বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪ ● ৪ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বুধবার ● ১৭ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীরাই হবে স্মার্ট বাংলাদেশের কারিগর –রংপুরে স্পীকার       রংপুরে বৃষ্টি নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার       কুড়িগ্রামে অষ্টমীর স্নান করতে এসে মারা গেলেন পুরোহিত       বাস-পিকআপ সংঘর্ষে ১১ জন নিহত       উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: রংপুরে ৩০ প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল       

 width=
 

এ্যাম্বুলেন্সে গিয়ে স্বামীর নির্যাতনের জবানবন্দী দিলেন তাসফিয়া

রবিবার, ২৪ জুলাই ২০১৬, বিকাল ০৫:৪৪

রোববার বেলা ১১টার দিকে তাসফিয়াকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে একটি এ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর তিনি রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের আদালত-১ এ স্বামীর অমানুষিক নির্যাতনের জবানবন্দী দেন।

আদালতের বিচারক মোকসেদা আসগার তার খাস কামরায় বেলা ১২টা ৫ মিনিট থেকে দুপুর পৌনে ২টা পর্যন্ত রিফাহ তাসফিয়ার জবানবন্দী গ্রহণ করেন। জবানবন্দী শেষে ভিকটিমের আইনজীবি জতিউল ইসলাম শাফি সাংবাদিকদের বলেন, তিনি তার ওকালতির জীবনে এমন নির্মম নির্যাতনের ঘটনা আর দেখেননি। যৌতুকের জন্য তাসফিয়ার স্বামী তার দুই হাত ও এক পা ভেঙ্গে দিয়েছে। বুকের ও পাঁজরের দুটি হাড়ও ফেটে গেছে। মাথায় সেলাই লেগেছে ১৬টি। এসব নির্যাতন কেন হয়েছে, কীভাবে হয়েছে এবং এর সঙ্গে কারা কারা জড়িত সেসব বিষয়ই জবানবন্দীতে আদালতকে জানিয়েছেন রিফাহ তাসফিয়া।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘আদালতের তলবে রিফাহ তাসফিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ২২ ধারা মতে এই জবানবন্দী দিলেন। গত ১১ জুলাই থেকেই তিনি রামেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আজই (রোববার) তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। এরপরই তাকে এ্যাম্বুলেন্সে করে আদালতে নিয়ে যাওয়া হয়।’

মাত্র দুই বছর আগে রাজপাড়া থানার ডিঙ্গাডোবা এলাকার ফজলুল হকের ছেলে শামিউল হক সোহাগকে (৩০) ভালোবেসে বিয়ে করেন ভাটাপাড়া এলাকার আবদুস সালামের মেয়ে রিফাহ তাসফিয়া (২২)। বিয়ের পর তাদের কোলজুড়ে এসেছে একটি কন্যা সন্তান। তার বয়স এখন ৬ মাস।

আদালতে তাসফিয়ার সঙ্গে তার মা হোসনে আরা পারভীন, চাচা মীর আবু সাঈদ শিমুল ও মামা ফজলে রাব্বীসহ আরও Tasfia Photo (2)কয়েকজন নিকটাত্বীয় এসেছিলেন। তারা জানান, বিয়ের পর তাসফিয়ার সুখের কথা চিন্তা করে তার স্বামীকে তারা দেড় লাখ টাকা দিয়েছেন। কিন্তু আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের দাবিতে তাসফিয়ার ওপর নির্যাতন চালাতেন স্বামী সোহাগসহ তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।

এরই ধারাবাহিকতায় গত ১১ জুলাই লাঠি, লোহার রড ও পাইপ দিয়ে তাসফিয়াকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন স্বামী সোহাগ, তার মা জাহানারা বেগম সুজি (৫০), বাবা ফজলুল হক (৫৬), ভাই ফয়সাল (৩০) ও সজীব (২৮)। ওই দিন খবর পেয়ে তারা তাসফিয়াকে উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনায় তাসফিয়ার মা এই ৫ জনকে আসামি করে থানায় মামলা করেন। পরে পুলিশ সোহাগকে গ্রেফতার করে। তখন থেকেই সোহাগ কারাগারে। তবে মামলার অন্য আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন নিয়েছেন।

মন্তব্য করুন


 

Link copied