আর্কাইভ  শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪ ● ৭ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শনিবার ● ২০ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: নীলফামারীতে গোপন বৈঠক থেকে জামায়াতের ৩ নেতা গ্রেপ্তার       পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ       

 width=
 

মেডিকেল অফিসারের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির ‘গণঅভিযোগ’

বুধবার, ২৭ জুলাই ২০১৬, বিকাল ০৫:৪৯

এসব অভিযোগের কারণে মোজাম্মেল হক বাদল নামের ওই চিকিৎসককে অন্য কোথাও শাস্তিমূলক বদলির সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২৭ জুলাই) এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হওয়ার কথা। রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে হাসপাতালের কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, মোজাম্মেল হক বাদল হাসপাতালের নিউরো সার্জারী বিভাগের অনারারি মেডিকেল অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই বিভাগে যে কোনো নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক গেলে তাকে নানাভাবে যৌন হয়রানি করেন তিনি। বিভিন্ন ওয়ার্ডে দায়িত্ব পালন করা নারী ইন্টার্ন চিকিৎসকদেরও তিনি অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। কিন্তু লোকলজ্জার ভয়ে কেউ তার বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ করতেন না।

তবে বুধবার বেলা ১১টার দিকে হাসপাতালের আট নম্বর ওয়ার্ডে দায়িত্বে থাকা এক নারী ইন্টার্ন চিকিৎসককে ডা. বাদল যৌন হয়রানি করলে ওই নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক ওয়ার্ড ইনচার্জের কাছে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এরপর ওয়ার্ড ইনচার্জ বিষয়টি হাসপাতালের পরিচালককে জানান। বিষয়টি জানতে পেরে ডা. বাদল ওই নারী ইন্টার্নকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন।

সূত্র আরও জানায়, বিষয়টি হাসপাতালের অন্যান্য ইন্টার্ন চিকিৎসকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন হাসপাতাল পরিচালক ওই নারী ইন্টার্নকে ডেকে পাঠান। তলব করা হয় ডা. মোজাম্মেল হক বাদলকেও। এ সময় আরও ১৩ জন ভুক্তভোগী নারী ইন্টার্ন চিকিৎসক হাসপাতাল পরিচালকের কাছে গিয়ে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মৌখিকভাবে অভিযোগ করেন। এরপরই হাসপাতালে জরুরী সভা ডাকা হয়।

বিষয়টির সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, ব্যবস্থাও নিয়েছি। ডা. মোজাম্মেল হক বাদলকে শাস্তিমূলক বদলি করা হচ্ছে। আজকের মধ্যেই (বুধবার) এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়ে যাবে। এ ধরনের গুরুতর অভিযোগের সঙ্গে কোনো আপোষ নয়।

তিনি জানান, হাসপাতালের পরিচালনা পর্ষদ, সব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও প্রফেসরদের নিয়ে সভা করে বিকেলে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ বিষয়ে কথা বলতে ডা. মোজাম্মেল হক বাদলের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে সেটি বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied