আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন সম্পন্ন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা      

 width=
 

‘বন্যয় ভাসছে মানুষ গবাদিপশু’

শুক্রবার, ২৯ জুলাই ২০১৬, দুপুর ০২:১১

দুই চরে ৬শ’র ওপরে পরিবারের বসবাস। এবারের বন্যায় চরের সব ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে। কোনো কোনো ঘরের চালা পর্যন্ত পানি। এ অবস্থায় চরের বেশির ভাগ মানুষ ঘর ছেড়ে অন্যত্র আশ্রয় নিয়েছে। প্রয়োজনের তুলনায় কম পরিমান ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। এতে খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র অভাবের কথা জানা গেছে বানভাসিদের কাছ থেকে।

আজ শুক্রবার সরেজমিনে পাখিউড়া চরের মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তাদের কষ্ট দুর্দশায় একধরণের হাহাকার অবস্থা। চরের বাসিন্দা রোমেলা বেগম বলেন, পানিতে বাচ্চাকাচ্চা গরুবাছুর নিয়া মরবার নাগছি। খাওয়া দাওয়া নাই। ঘরে চাইলও নাই। একদিন কয়কেজি চাইল দিছিল সেটাও শ্যাষ হওয়া গেছে। ১১দিন থিকা পানির ভিতর আছি। আইজ পানি আরো বাইড়া ঘরের টুইয়ায় ঠেকছে। তাই ঘর ছাইড়া মাইনসের বাড়িত যাইতাছি। দিনমজুর বেলায়েত হোসেন বলেন, এবা বন্যা আগে দেহি নাই। ৮দিন থিকা খালি পানি বাড়তাছে। পানির কারনে রান্নাবান্নাও করা যায় না। এক বেলা খাইয়া খাইয়া বাঁইচা আছি। পোলাপান নিয়া আছি খুবই বিপদে।

চরের দিনমজুর আব্দুস সামাদ বলেন, মানুষের ক্ষিদা নাগলে তা বলতে পারে। কিন্তু অবলা প্রাণি গরু গুলান কিছু বলতে পারে না। ঘরবাড়ি ডুইবা যাওয়ার কারনে গরু নিয়া খুব মশকিলে পড়ছি। চরের সবার গরু বাছুর টাঙ্গালিয়া রাস্তায় রাখা হয়েছে। গরু গুলান ক্ষিদার চোটে খালি হাম্বা হাম্বা করছে। আব্দুর রহিম নামের এক বানভাসি বলেন, আমার ঘরে বুক পরিমান পানি। তাই ঘর ছাড়ছি অনেক আগেই। যে বাইত্তে আশ্রয় নিয়েছিলাম সেই বাড়িতেও পানি উঠছে আইজ। এবারের বন্যা ৮৮’র বন্যার চেয়েও বেশি পনি হইছে। কেঁচোমারী চরের শহর আলী বলেন, আমগর চরে ১০দিনের মধ্যে খালি একদিন ১০ কেজি কইরা চাল দিছে। এরপর আর আসেনি। বন্যার কারনে আয়রোজগার বন্ধ থাকায় মানুষের মাঝে খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। আমার পরিবারকেই দিয়াই বলছি। কেননা আমার ঘরে কোনো চাল নেই। ৫ ছেলেমেয়েকে কালকে কি খাওয়াবো তা বলতে পারছি না। চরের বাসিন্দা মজিবর রহমান, আব্দুল কাদের, আবু শামারা জানান, এতদিন ধরে কি আর পানির মধ্যে থাকা যায়। গবাদিপশুকে নিয়ে বড় সমস্যা দেখা দিয়েছে। চারপাশে পানি আর পানি। তারওপর রয়েছে খড়ের অভাব। পানিতে খড় ও ঘাস ডুবে যাওয়ার কারনে গবাদিপশু কোনো খাবার দিতে পারছি না।

রাজীবপুর সদর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আলম বাদল জানান, আমার ইউনিয়নের পাখিউড়া, মদনেরচর, করাতিপাড়া, পশ্চিমরাজীবপুর, কেচোমারী এলাকার ঘরবাড়ি সম্পূর্নরূপে ডুবে গেছে। বন্যা কবলিত ওইসব এলাকায় খাদ্য ও বিশুদ্ধ পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। যে পরিমাণ ত্রাণ তা দেয়া হয়েছে তা খুবই কম। রাজীবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান জানান, প্রতিদিন ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। বন্যায় যাতে কোনো মানুষ না খেয়ে থাকে, সেকারনে চেয়ারম্যান মেম্বারদের নির্দেশ দেয়া আছে। আর ত্রাণ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। এখন পর্যন্ত ৫৫টন চাল ও নগদ ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রয়োজনে আরো বরাদ্দ দেয়া হবে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied