ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিক ও সমমানের পরীক্ষায় সারা দেশে ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠানে শতভাগ শিক্ষার্থী পাস করেছে। অন্যদিকে ২৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। গত বছর শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৩৫টি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফলের অনুলিপি তুলে দেন শিক্ষামন্ত্রী।
এবার শতভাগ পাস করেছে ৮৪৮টি প্রতিষ্ঠান,যা গতবছর ছিল এক হাজার ১৩৩টি।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, শতভাগ পাস করেছে এমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যাও এবার কমেছে। গত বছর এক হাজার ১৩৩টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোনো ছাত্র ফেল করেনি। এবার এই সংখ্যা কমে হয়েছে ৮৪৮টি।
শতভাগ পাসের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমায় মন্ত্রণালয়ে তেমন উদ্বেগ নেই। তবে শতভাগ ফেল করা প্রতিষ্ঠান নিয়ে উদ্বেগ আছে। কোনো প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস না করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে পারে মন্ত্রণালয়। আইন অনুযায়ী শিক্ষকদের এমপিও বাতিল করতে পারে সরকার।
তবে এই ব্যবস্থায় তেমন কোনো লাভ হয় না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘সে ক্ষেত্রে শিক্ষকরা আদালতে যান এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আদালতের রায় যায় তাদের পক্ষে।’
তবে এমপিও বাতিল না হলেও শতভাগ ফেল করা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে এবার অন্য ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী শূন্য পাসের ২৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কলেজ ২০টি এবং পাঁচটি মাদ্রাসা। েই কলেজগুলোর মধ্যে ঢাকা বোর্ডের অধীনে আছে তিনটি। সবচেয়ে বেশি রাজশাহী ও দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে আটটি করে। এ ছাড়া যশোর শিক্ষাবোর্ডে একটি কলেজে কেউ পাস করেনি।
আর শতভাগ পাস করেছে এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাদ্রাসা বোর্ডের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি ৫৮৫টি। এরপর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ১৫৮টি।
আর ঢাকা বোর্ডে ৪৩, রাজশাহীতে ১৮, যশোরে ১৩, কুমিল্লায় আট, চট্টগ্রামে ও সিলেটে পাঁচ, বরিশালে দুই ও দিনাজপুর শিক্ষাবোর্ডে ১১টি কলেজের শতভাগ শিক্ষার্থীই পাস করেছে।
এবার এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা ৩ এপ্রিল শুরু হয়ে শেষ হয় ২২ জুন।