আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

হাতি মরিয়া প্রমাণ করিল হাতিটি মরে নাই

শুক্রবার, ১৯ আগস্ট ২০১৬, সকাল ০৭:৪৬

ড.জীবেন রায়:

হাতিটির একটি নামও (বঙ্গবাহাদূর) দেয়া হয়েছিল। শরণার্তি হাতিটির আশ্রয়, ভড়নপোষন দেয়া হতো এবং একদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে হস্তান্তরও করা হতো হয়ত। পত্র পত্রিকায়, টেলিভিশন টকশোতে আলোচনা, পর্যালোচনা হয়েছে অনেক।লক্ষন ভালো। মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। একটা প্রানের প্রতি মমত্ববোধ জাগছে, তা জন্তু, জানোয়ার যাই হোক না কেন? গৌতম বুদ্ধ যতার্থই বলেছেন, জীবে দয়া করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর। হাতিটিকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই আন্তরিক চেষ্টা করেছে বন বিভাগ। তবে ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য শুধু হাতি নয়, যেকোনো উদ্ধার অভিযান, কিংবা যেকোনো পরিস্থিতির সঠিক মোকাবিলার জন্য তাৎক্ষনিক সঠিক প্ল্যানিং করা প্রয়োজন।

আজকাল কম্পিউটার যুগে বাংলাদেশে ( সরকারি পর্যায়ে হোক আরএ নজিওপর্যায়ে হোক কিংবা পাবলিক লাইব্রেরী হোক) একটা সেন্ট্রাল বিশেষজ্ঞ লিষ্ট(Resource persons)থাকা উচিত এবং সেই সাথে প্রতিটি অঞ্চলে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ তালিকাও রাখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষেই একটি বিজ্ঞানসম্মত দেশ। এখানে স্থানীয়ভাবে বিশেষজ্ঞ তালিকা থাকে। একটা সাপকেও যদি ধরতে হয় তাহলে স্নেক ক্যাচারকেই ডাকা হবে। তাছাড়া এখানে অনেকেই লাইফ সেভিংসিপিআর (cardiopulmonary resuscitation) ট্রেনিং নিয়ে থাকে। কম্যুনিটি সার্ভিস দেয়ার জন্য নোটারী পাবলিক হিসেব সার্টিফাইড হয়ে থাকে। হাতিটিকে রক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটির প্ল্যান বা প্রটোকল মাফিক কাজ করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যেত।

ষোল কোটি মানুষের মাঝে হাতি বিশেষজ্ঞ নিশ্চয়ই আছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষজ্ঞ যেমন পাওয়া যেতো, তেমনি রয়েছে চিড়িয়াখানায় বিশেষজ্ঞ, এমনকি রয়েছে যারা হাতি চড়িয়ে বেড়ায় অর্থাৎ মাহুত। বিশেষজ্ঞ লিষ্ট থাকলে মোবাইল ফোনের যুগে, স্কাইপির মাধ্যমে আলোচনার ভেতর দিয়ে সঠিক প্ল্যানটাই বেড়িয়ে আসতো। এক একটা ঘটনা দিয়ে এক একটা সিষ্টেমের উন্নয়ন ঘটে। প্রায় ৫০ বছর আগে অষ্টিনেরটেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসশুটিং ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে Special Weapons And Tactics Team (SWAT)গঠনকরা হয়। সেধরনের কমান্ডো বাহিনীই ঢাকায় হলিআর্টসান কাফের সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১১ এমারজেন্সী কলিং সিস্টেমটা এককথায় অনবদ্য সিস্টেম। বাংলাদেশে এমন একটা সিস্টেম কিভাবে গড়া যায়, এখনই ভাবা উচিত।

পুলিশ বাহিনীতে নানাবিধ ট্রেনিং এর মাধ্যমে এক একজনকে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। দারোগা শুধু চোর ধরবে –এমন ভাবলে চলবে না। বন্যা থেকে মানুষও বাঁচাবে। নৌকা বাইতে জানতে হবে। সাইকেল চালাতে, গাড়ী চালানোতেও পারদর্শী হতে হবে।তেমনি দমকল বাহিনীকে শুধু পানি দিয়ে আগুন নিভাতে জানলেই হবে না। তাদেরকে আগুন থেকে জীবন বাঁচানোর কায়দাকানুনও জানতে হবে। জানতে হবে পেট্রোলের আগুন কিভাবে নিভাতে হয়। কিভাবে ক্যামিকেলের আগুন নিভাতে হয়। ধাতব সোডিয়ামে আগুন লাগলে কি করতে হবে।

তবে বিশেষজ্ঞ নাহয়ে বিশেষজ্ঞ ভাব দেখানো উচিত নয়। বাংলাদেশে অনেকেই নিজেকে সর্বজান্তা ভাব দেখায়। নিজেকে পন্ডিত মনে করে। ওখানেই হল বড় সমস্যা। ক্যান্সার নিরাময়ে অনকোলজিষ্টদের কাছেই যেতে হবে।জিপি দিয়ে হবে না। তবে জিপির ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা থাকতে হবে। তাকেই তো অনকোলজিষ্টদের কাছে রেফার করতে হবে। সেদিন সিবিএসচ্যানেলেসায়েন্স প্রোগ্রামে দেখলাম

হাতি মরিয়া প্রমাণ করিল হাতিটি মরে নাই ড.জীবেন রায়

সম্প্রতি বন্যা কবলিত ভারতীয় একটি বন্য হাতি পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই বাংলাদেশ মাটিতে এসে হাযির। মানুষও যখন দূরবস্থায় পড়ে তখন পাসপোর্ট ভিসা ছাড়াই এক দেশ থেকে অন্য দেশে পাড়ি জমায়, বেঁচে থাকার তাগিদে, জীবনের নিরাপত্তার জন্য। সেই দূর্বিসহ পরিস্থিতিতে কেউ বাঁচে, আবার অনেকেই মারা যায়। হাতিটিও নিশ্চয় বাঁচতে চেয়েছিল।বাংলাদেশের আতিথ্য গ্রহন করেছিল। বাংলাদেশের মানুষও তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু হাতিটি সে সুযোগ দেয়নি। খবরে প্রকাশ হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে না ফেরারদেশেচলেগেছে।বাংলাদেশেরঅনেকেই কষ্টও পেয়েছে। এমনকি তার ময়না তদন্তের জন্য লিগ্যাল নোটিশ দেয়ার আবেদনও করেছেন এক ভদ্রলোক। এসব ছোট ছোট ঘটনার অনেক ইতিবাচক দিকও থাকে। মানুষের মমত্ববোধজেগে উঠে।হাতিটির একটি নামও (বঙ্গবাহাদূর) দেয়া হয়েছিল। শরণার্তি হাতিটির আশ্রয়, ভড়নপোষন দেয়া হতো এবং একদিন আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে হস্তান্তরও করা হতো হয়ত। পত্র পত্রিকায়, টেলিভিশন টকশোতে আলোচনা, পর্যালোচনা হয়েছে অনেক।লক্ষন ভালো। মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। একটা প্রানের প্রতি মমত্ববোধ জাগছে, তা জন্তু, জানোয়ার যাই হোক না কেন? গৌতম বুদ্ধ যতার্থই বলেছেন, জীবে দয়া করে যেইজন, সেইজনসেবিছে ঈশ্বর।হাতিটিকে বাঁচানোর জন্য অবশ্যই আন্তরিক চেষ্টা করেছে বন বিভাগ। তবে ভবিষ্যতের প্রস্তুতির জন্য শুধু হাতি নয়, যেকোনো উদ্ধার অভিযান, কিংবা যেকোনো পরিস্থিতির সঠিক মোকাবিলার জন্য তাৎক্ষনিক সঠিক প্ল্যানিং করা প্রয়োজন। আজকাল কম্পিউটার যুগে বাংলাদেশে ( সরকারিপর্যায়েহোকআরএনজিওপর্যায়েহোক কিংবা পাবলিক লাইব্রেরী হোক) একটা সেন্ট্রাল বিশেষজ্ঞ লিষ্ট(Resource persons)থাকা উচিত এবং সেই সাথে প্রতিটি অঞ্চলে স্থানীয় বিশেষজ্ঞ তালিকাও রাখা উচিত। যুক্তরাষ্ট্র প্রকৃতপক্ষেই একটি বিজ্ঞানসম্মত দেশ। এখানে স্থানীয়ভাবেবিশেষ্জ্ঞ তালিকা থাকে। একটা সাপকেও যদি ধরতে হয় তাহলে স্নেক ক্যাচারকেই ডাকা হবে। তাছাড়া এখানে অনেকেই লাইফ সেভিংসিপিআর (cardiopulmonary resuscitation)ট্রেনিং নিয়ে থাকে। কম্যুনিটি সার্ভিস দেয়ার জন্য নোটারী পাবলিক হিসেব সার্টিফাইড হয়ে থাকে। হাতিটিকে রক্ষা করার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটির প্ল্যান বা প্রটোকল মাফিক কাজ করলে আরো ভালো ফল পাওয়া যেত।ষোল কোটি মানুষের মাঝে হাতি বিশেষজ্ঞ নিশ্চয়ই আছে। কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষজ্ঞ যেমন পাওয়া যেতো, তেমনি রয়েছে চিড়িয়াখানায় বিশেষজ্ঞ, এমনকি রয়েছে যারা হাতি চড়িয়ে বেড়ায় অর্থাৎ মাহুত। বিশেষজ্ঞ লিষ্ট থাকলে মোবাইল ফোনের যুগে, স্কাইপির মাধ্যমে আলোচনার ভেতর দিয়ে সঠিক প্ল্যানটাইবেড়িয়ে আসতো। এক একটা ঘটনা দিয়ে এক একটা সিষ্টেমের উন্নয়ন ঘটে। প্রায় ৫০ বছর আগে অষ্টিনেরটেক্সাস বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসশুটিং ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রে Special Weapons And Tactics Team (SWAT)গঠনকরা হয়। সেধরনের কমান্ডো বাহিনীই ঢাকায় হলিআর্টসান কাফের সন্ত্রাসীদের মোকাবিলা করেছিল। যুক্তরাষ্ট্রের ৯১১ এমারজেন্সী কলিং সিস্টেমটা এককথায় অনবদ্য সিস্টেম। বাংলাদেশে এমন একটা সিস্টেম কিভাবে গড়া যায়, এখনই ভাবা উচিত।পুলিশ বাহিনীতে নানাবিধ ট্রেনিং এর মাধ্যমে এক একজনকে বিশেষজ্ঞ পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে। দারোগা শুধু চোর ধরবে –এমন ভাবলে চলবে না। ব্ন্যা থেকে মানুষও বাঁচাবে। নৌকা বাইতে জানতে হবে। সাইকেল চালাতে, গাড়ী চালানোতেও পারদর্শী হতে হবে।তেমনি দমকল বাহিনীকে শুধু পানি দিয়ে আগুন নিভাতে জানলেই হবে না। তাদেরকে আগুন থেকে জীবন বাঁচানোর কায়দাকানুনও জানতে হবে। জানতে হবে পেট্রোলের আগুন কিভাবে নিভাতে হয়। কিভাবে ক্যামিকেলের আগুন নিভাতে হয়। ধাতব সোডিয়ামে আগুন লাগলে কি করতে হবে। তবে বিশেষজ্ঞ নাহয়ে বিশেষজ্ঞ ভাব দেখানো উচিত নয়। বাংলাদেশে অনেকেই নিজেকে সর্বজান্তা ভাব দেখায়। নিজেকে পন্ডিত মনে করে। ওখানেই হল বড় সমস্যা। ক্যান্সার নিরাময়েঅনকোলজিষ্টদের কাছেই যেতে হবে।জিপি দিয়ে হবে না। তবে জিপির ক্যান্সার রোগ সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা থাকতে হবে। তাকেই তো অনকোলজিষ্টদের কাছে রেফার করতে হবে। সেদিন সিবিএসচ্যানেলেসায়েন্স প্রোগ্রামে দেখলাম, একটি অসুস্থ গোল্ড ফিসের উপর সার্জারি করে টিউমার মুক্ত করা হয়েছে। চেতনা ফিরে আসার পর দিব্যি মাছটি পানিতে সাতার কাটছে। সেইজন্যই তো মানুষ সর্বশ্রেষ্ট জীব। __________________________ ড.জীবেন রায় আমেরিকান প্রবাসী অধ্যাপক royjiben@yahoo.com

মন্তব্য করুন


 

Link copied