আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

পোষা পাখি (সাংবাদিক)

রবিবার, ২৮ আগস্ট ২০১৬, দুপুর ০৪:৩১

তুষার আবদুল্লাহ

এই ক্ষমতার আবার দুটি উৎস, রাষ্ট্র এবং পুঁজি। বিশ্ব জুড়েই গণমানুষের কথা বলার যে ভাণ ধরে আছে ‘গণ’মাধ্যমগুলো, তাদের সবাই পুঁজি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। পুঁজির পাহারাদার তেজি ‘অ্যালসেশিয়ান’ বলা যেতে পারে। আমরা যারা বাংলাদেশে নানা ভঙ ধরা গণমাধ্যমে আছি, তাদের কয়জন সেই করপোরেট পুঁজির বাইরে আছি? কতিপয় হয়তো অ্যালসেশিয়ানের মতো চিৎকার করছে। বাকিরা সরাইলের ‘সারমেয়’র মৃদু আওয়াজে ক্ষমতা বা পুঁজির জয়গান করি।

রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চর্চাকারী মালিক যারা (সকল ক্ষমতার উৎস জনগণ বলে মিছেই প্রতারণা করি), সেই রাজনীতির মানুষেরা জানেন কতো স্বল্পমূল্যে বা ছল চাতুরিতে ‘গণ’মাধ্যমের শ্রমিকদের নিজেদের শ্রমিক করে তোলা যায়। এজন্য খুব দামি বেকারির রুটি বা ভাল  প্রজাতির সুস্বাদু কলার প্রয়োজন হয় না।

সস্তা বিস্কুট নিয়ে এদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। যা দেখে রাষ্ট্র ক্ষমতা মুচকি হাসে। বিনোদিতও হয়। সাংবাদিকদের এই তুষ্ট করার কৌশলটা জেনে গেছে তৃণমূলের ক্ষমতার মালিকরাও। তাই রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে ইউনিয়নের সাধারণ সদস্য, একই কৌশলে সাংবাদিকদের মুঠোয় রাখছে।

সাংবাদিকরাও খুশি সস্তা বিস্কুটে তৃপ্তির ঢেঁকুর তোলে তারা। করপোরেট পুঁজির কাছে তো আরো বড় মওকা আছে। চাকরির আকালের দেশে সবাই দলে দলে গিয়ে নিজেরাই করপোরেট দাসের খাতায় গিয়ে নাম লেখাচ্ছে। তবে একথা সত্যি দাস হিসেবে আমরা কিন্তু বিশ্বস্তের চেয়েও বেশি কিছু। কারণ যতোটা পাই, তারচেয়ে কয়েক গুণ জোরে চিৎকার করে প্রশস্তি গাই। করপোরেট প্রভুরা আমাদের দিয়ে তাদের তৈরি সুরে ঘেউ ঘেউ করিয়ে নিতে পারেন।

এই বাস্তবতায়, শনিবার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর রামপাল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আমাদের স্বজাতিরা যে পারফরমেন্স দেখিয়েছেন, তাতে আমি বিস্মিত হইনি। বরং মান ধরে রাখার প্রদর্শন দেখতে পেয়ে স্বস্তি বোধ করেছি। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী যখন ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় ছিলেন, ২০০৯ সালে ক্ষমতায় ছিলেন, তিনি যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখনও স্বজাতিরা তাকে ঘিরে মাতম করে গেছেন অন্ধভাবেই।

একই ভাবে বেগম খালেদা জিয়া যখন ১৯৯১ সালে, ২০০১ সালে ক্ষমতায় ছিলেন, বিরোধী দলে ছিলেন এবং এখন সংসদের বাইরে থাকা অবস্থাতেও তিনি একই ধ্বনি দ্বারা পুলকিত হয়ে আছেন।

রাষ্ট্রের ক্ষমতায় যারা আছেন, এবং যাদের হাতে করপোরেট পুঁজি উভিয় পক্ষই কিন্তু আমাদের এই ‘ছেলেমানুষী’ দেখে আনন্দিত হন। আমাদের ‘পোষা’প্রানী সুলভ ক্রীড়া তা্দের বিনোদন দেয়। তারা জানেন এই ‘পোষা’প্রাণীরা যার হাতের ‘রুটি-কলা’দেখবে তারই নাম জপবে।

আমি ব্যক্তিগত ভাবে দেখেছি –‘পোষা প্রানী’রূপ সাংবাদিকদের  নিয়ে খেলাধূলা শেষে তাদের অভিব্যক্তি। রাষ্ট্রীয় ও করপোরেট  ক্ষমতা আমাদের বিশ্বাস করে না, নিজের মনে করে না। আমরা নিতান্তই তাদের ‘খাঁচার পাখি’।

খাঁচার লাভ বার্ড ভেবে আবার কেউ আনন্দে অক্কা পেলে মুশকিল!

তুষার আবদুল্লাহ : বার্তা প্রধান, সময় টিভি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied