রবিবার বেলা ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন মার্কেট থেকে তাকে গ্রেফতার করে মতিহার থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ হয়ে প্রতিবাদ মিছিল করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা প্রগতিশীল ছাত্রজোট।
ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, রবিবার সকাল ১০টায় দিলীপ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে করে দুটি স্ট্যাটাস দেন।
এ বিষয়ে ছাত্র মৈত্রীর সভাপতি প্রদীপ মার্ডি বলেন, দিলীপ অর্থনীতি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। সে ক্লাস শেষে পরিবহন মার্কেটে আমাদের সঙ্গে বসে ছিলো। তখন পুলিশ এসে বলে আপনাকে যেতে হবে। কেন জানতে চাইলে পুলিশ বলে, ‘আপনাদের কাছে এ কথার জবাব দিতে পারবো না।’ পরে জানতে পারি ফেসবুকের একটি স্ট্যাটাসের কারনে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে আরো বলেন, ‘গণতান্ত্রিক দেশে সবার কথা বলার অধিকার আছে। সামান্য ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারনে একজন ভিন্নমতাবলম্বী নেতাকে গ্রেফতার করা সম্পূর্ণ স্বৈরতান্ত্রিক মনোভব। তাকে যতদ্রুত সম্ভব ছেড়ে দেয়া হোক।’
জানতে চাইলে মতিহার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ফেসবুক স্ট্যাটাসের কারেন রাবি ছাত্রলীগের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আমরা দিলীপের সার্বিক নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে তাকে নিয়ে এসেছি। তাকে মতিহার থানায় রাখা হয়েছে। সব কিছু বিবেচনা করে পরে সিদ্ধান্তে পৌছানো হবে।
অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে এ ধরনের স্ট্যাটাস দেয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছে রাবি শাখা ছাত্রলীগ। বেলা ১টার দিকে দলীয় টেন্ট থেকে মিছিলটি বের হয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে সেখানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। সমাবেশে ছাত্রলীগের সভাপতি রাশেদুল ইসলাম রাঞ্জু ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, প্রধান মন্ত্রীকে নিয়ে এমন মন্তব্য করার জন্য দিলীপকে উপযুক্ত শাস্তি দেয়া হোক। তার ছাত্রত্ব বাতিল করা হোক।