গতকাল মঙ্গলবার রংপুর সিটি করপোরেশন চত্বরে মেয়র নিজে আগুন দিয়ে অটোরিকশা তিনটি পুড়িয়ে দেন।
একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়রের এ ভূমিকায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপক সমালোচনা দেখা দিয়েছে।
এ নিয়ে ক্ষুদ্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে অটোচালকরা। বুধবার সকালে নগরীর জাহাজ কোম্পানীর মোড়ে দাঁড়িয়ে থাকা অটো চালক মতিয়ার রহমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, মেয়র গরীবের পেটে লাথ্থি দিয়েছে। প্রতিদিন তো কত অবৈধ মোটরসাইকেল ধরা হচ্ছে মেয়র সেগুলো পুড়িয়ে দেখাক।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর জেলা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা মালিক-শ্রমিক সমিতির সভাপতি মহিউল আহম্মেদ মহির বলেন, মেয়র যা করেছে এটা ন্যাক্কারজনক। তিনি এভাবে গরীবের ক্ষতি করতে পারেন না। এ বিষয়ে আমরা মেয়রের সাথে আলোচনায় বসবো।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ গনমাধ্যমকে বলেন, জনপ্রতিনিধি হিসেবে মেয়র এটা করতে পারেন না। তিনি সিটি করপোরেশন এলাকায় এসব গাড়ি চলাচলে বাধা দিতে পারেন। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু পোড়াতে পারেন না।
রংপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা যায়, এক সপ্তাহ আগে অটোরিকশা তিনটি জব্দ করা হয়। এগুলো জাল নিবন্ধন করা। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অটোরিকশা তিনটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এ সময় বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তা ও গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সরফুদ্দিন আহমেদ গতকাল রাতে দেশের শীর্ষ এক দৈনিককে বলেছেন , ‘জাল লাইসেন্স করা ঠেকানো যাচ্ছে না। তাই আমাকে বাধ্য হয়ে কাজটি করতে হলো, যাতে ভবিষ্যতে কেউ এ ধরনের জাল লাইসেন্স করতে সাহস না পায়।’