দেশীয় কোচ ও বিসিবির বোলিং অ্যাকশন রিভিউ কমিটির কাছে সবুজ সংকেত পেয়ে অ্যাকশন পরীক্ষা দিতে গত ৫ সেপ্টেম্বর অস্ট্রেলিয়াগামী বিমানে চেপে বসেছিলেন তাসকিন-সানি। পরে প্রধান কোচ চণ্ডিকা হাথুরুসিংহেকে পাশে নিয়ে ৮ সেপ্টেম্বর পরীক্ষা দেন দুজনে। ব্রিসবেনের ন্যাশনাল ক্রিকেট সেন্টারের ল্যাবে ঐদিন সকাল দশটায় তাসকিন অ্যাকশন পরীক্ষা দেন। আর সানির পরীক্ষা হয় একইদিন দুপুর দুইটায়।
অ্যাকশনের পরীক্ষার পর ফল পেতে দুই সপ্তাহ অপেক্ষার কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। সেখানে ভালো কিছুর আশা করে পেসার তাসকিনকে নিয়েই আফগানিস্তান সিরিজের জন্য ২০ সদস্যের ওয়ানডে পুল ঘোষণা করে বোর্ড।
বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজকে সামনে রেখে তাসকিনকে ছাড়াই ১৩ সদস্যের দল ঘোষণা করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। তখন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানিয়েছেন, আফগান সিরিজ শুরু হওয়ার আগে নিষেধাজ্ঞামুক্ত হলে তাসকিন ওয়ানডে দলে ১৪তম সদস্য হিসেবে জায়গা পাবেন। সব কিছু ঠিক থাকলে আফগান সিরিজেই মাঠে নামবেন এই টাইগার পেসার।
এদিকে ২০ সদস্যের পুলে জায়গা না হওয়ায় আফগান সিরিজে খেলা হচ্ছে না সানির। অবশ্য অক্টোবরের শুরুতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশ দলে ফিরবেন পারেন এই টাইগার স্পিনার।
এর আগে চলতি বছর ভারতে অনুষ্ঠিত টি-টুয়েন্টি বিশ্বকাপের আসর চলাকালে ‘অবৈধ’ বোলিং অ্যাকশনের দায়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে সাময়িক নিষিদ্ধ হন বাংলাদেশের জাতীয় দলের দুই বোলার তাসকিন ও সানি। পরে আম্পায়ারদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে তাদের চেন্নাইয়ের শ্রীরামচন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাগারে বায়োমেকানিক্যাল পরীক্ষা দিতে হয়। সানি ১২ মার্চ ও তাসকিন ১৫ মার্চের সেই পরীক্ষায় নিজেদের বোলিং অ্যাকশনের শুদ্ধতা প্রমাণ করতে পারেননি।
এরপর থেকে নিজেদের বোলিং অ্যাকশন শোধরাতে দেশীয় কোচের অধীনে কাজ করে যান তারা। এবার আইসিসির অনুমোদিত ল্যাবে বোলিং অ্যাকশন পরীক্ষায় বৈধতা প্রমাণিত হওয়ায় আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার অনুমতি মিলল তাদের।