আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ৮ দফা দাবিতে মানব্বন্ধন

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, দুপুর ০৩:৩৭

বুধবার ২৮ সেপ্টেম্বর সকাল ১১ টায় ক্যা¤পাসে এ মানব্বন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানব্বন্ধনে বক্তব্য রাখেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী বাবুল হোসাইন, মেহেদি হাসান, মোমেনা খাতুন, রাহাত আহমেদ প্রমুখ।

বক্তারা বলেন, শুরু থেকেই নানা সমস্যার মধ্যদিয়ে বিভাগটির শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালিত হয়ে আসছে। এখানে চার বছরের অনার্স কোর্স শেষ হতে সময় লাগছে ৭ থেকে ৮ বছর। তৈরি হয়েছে দীর্ঘমেয়াদী সেশনজট। নেই পর্যাপ্ত শিক্ষক। বিভাগে মোট ৯ জন শিক্ষক থাকলেও ৩ জনই গবেষণা সংক্রান্ত কাজে দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। হার্ডওয়্যার ল্যাবে নেই প্রয়োজনীয় উপকরণ। পরীক্ষা শেষ হবার অনেক পরে পরবর্তী সেমিস্টারের ক্লাস শুরু হয়।

সবগুলো কোর্স একসাথে আরম্ভও হয়না। সেমিস্টারের কয়েকমাস অতিবাহিত হওয়ার পরও দেখা যায় অনেক কোর্স শুরু হয়নি। মাসের পর মাস পরীক্ষা ঝুলিয়ে রাখার ঘটনাও অনেক। পরীক্ষা শেষ হওয়ার ২১ দিনের মধ্যে ফলাফল দেবার নিয়ম থাকলে তা প্রকাশ করতে ৮ থেকে ১০ মাস লেগে যায়। পাশাপাশি সেশনের মধ্যে দুই সেমিস্টারের ব্যবধান থাকার কথা থাকলেও এখানে প্রত্যেক সেমিস্টারেই একটি করে ব্যাচ রয়েছে। পাশাপাশি সেমিস্টারের পরীক্ষা কাছাকাছি সময়ের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় বলে মানোন্নয়নসহ সেমিস্টার অনুত্তীর্ণরা স্বল্প সময়ের ব্যবধানে পুর্নাঙ্গ প্রস্তুতি নিয়ে পরবর্তী ব্যাচের সাথে পরীক্ষা দিতে পারেনা। অনুত্তীর্ণদের পঞ্চাশ নম্বরের কন্টিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্ট নিয়েও তৈরি হয় অনিশ্চয়তা। শিক্ষাজীবনে নেমে আসে নতুন বিপর্যয়। গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিষয়গুলো নিয়ে উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপিও দেন তারা।

তারা আরও বলেন, গত ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ইং তারিখে ২০১২-১৩ সেশনের দ্বিতীয় বর্ষ প্রথম সেমিস্টারের চূড়ান্ত ফলাফলে ৭ জন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়। স্বাভাবিক নিয়মে উক্ত সেমিস্টারের ফাইনাল পরীক্ষা পুনরায় দেবার নিয়ম রয়েছে। কিন্তু ২০১৩-১৪ সেশনের কন্টিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্ট এবং কোর্স শেষ হওয়ায় তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা স্বাভাবিকভাবে বিপাকে পড়েছেন। এই অল্পসময়ের মাঝে প্রস্তুতি নিয়ে কন্টিনিউয়াস অ্যাসেসমেন্টসহ পুনরায় চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করাটা তাদের জন্য প্রায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। যথেষ্ঠ সময় দিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ না করলে পুনর্বার অকৃতকার্য হওয়ার একটা আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে পরীক্ষা দিয়েও এক বিষয়ে ‘এফ’ গ্রেড পায় একজন শিক্ষার্থী। বিষয়টি নিয়ে যথাযথ কর্তৃপক্ষের শরণাপন্ন হলেও আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। উত্তরপত্র পুনঃমূল্যায়নের দাবি তুললেও নিয়ম নেই বলে তা অগ্রাহ্য করা হয়েছে।

বক্তারা আরও জানান, কোন রকম নোটিশ ছাড়াই চূড়ান্ত পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ক্লাসে ৭৫% উপস্থিতির নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। যা আগে ৬০% ছিল। এই নিয়মের দোহাই দিয়ে ২০১৫-১৬ সেশনের ৭ শিক্ষার্থীকে ফাইনাল পরীক্ষার ফরম পূরণ করতে দেয়া হয়নি। শিক্ষার্থীরা প্রশাসনকে তাদের দাবি মেনে নিতে এক সপ্তাহের সময় বেঁধে দিয়েছেন। এরমধ্যে দাবি আদায় না হলে কঠোর কর্মসূচীর হুঁশিয়ারি দেন তারা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied