আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

পারলো না বাংলাদেশ

বুধবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৬, রাত ১০:৫৭

 

এর আগে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মিরপুর স্টেডিয়ামে সেই পুরনো দল হিসেবেই ফেরে বাংলাদেশ । প্রতিপক্ষের বোলারদের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করে উইকেট বিলিয়ে দিয়ে আসার দৃশ্য তো গত দুই বছরে চোখে পড়েনি বাংলাদেশের। প্রায় ভুলতে বসা সেই দৃশ্যটাই আজ (বুধবার) মনে করিয়ে দিচ্ছিল স্বাগতিকরা। যদিও বড় লজ্জার হাত থেকেই রক্ষা পেয়েছে মোসাদ্দেক হোসেনের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে। তার হার না মানা ৪৫ রানের কার্যকরী ইনিংসের ওপর ভর দিয়েই বাংলাদেশ ৪৯.২ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে স্কোরে জমা করেছে ২০৮ রান।

শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশ স্কোর অতদূর গেছে, তা অভিষিক্ত মোসাদ্দেকের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়েই। ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডে খেলতে যখন মাঠে নামলেন তিনি, বাংলাদেশ তখন চাপে চ্যাপ্টা। তাতে অবশ্য ভয় পাননি তিনি মোটেও। সাবলীল ব্যাটিংয়ে বাড়িয়ে নিয়েছেন দলের স্কোর। শেষ পর্যন্ত ৪৫ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় খেলেছেন হার না মানা ৪৫ রানের ইনিংস।

টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশের শুরুটা ছিল ধীর গতির। দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার খেলছিলেন দেখে শুনে। যদিও ধীর গতির শুরুর পর নিজের স্বভাবসুলভ ব্যাটিংয়ে একটু একটু করে ধরা দিচ্ছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু এগোতে পারলেন না বেশি দূর। আউট হয়ে যান এই ওপেনার মিরওয়াইস আশরাফের বলে থার্ডম্যানে দৌলত জারদানের হাতে ধরা পড়লে। প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ৪৩ বলে খেলেছেন ২০ রানের ইনিংস।

তার ওপেনিং সঙ্গী সৌম্যও ফিরে যান পর পরই। গত কয়েক মাস সময়টা একেবারেই ভালো যাচ্ছে না তার। প্রথম ওয়ানডেও ছিলেন তিনি ব্যর্থ। খারাপ সময়ে অবশ্য পাশে পাচ্ছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। অধিনায়কের আস্থা ও সমালোচকদের জবাব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত এক মঞ্চ ছিল এই ম্যাচটি। শুরুটা ভালোও ছিল, কিন্তু আশরাফের বলে বড় শট খেলতে গিয়ে ধরা পড়েন তিনি কাভারে। করেন ৩১ বলে ২০ রান।

দ্রুত উইকেট হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ মাহমুদউল্লাহ ও মুশফিকুর রহিমের ব্যাটে। ঠান্ডা মাথার ব্যাটিংয়ে দলের স্কোর বাড়িয়ে নিচ্ছিলেন তারা। জুটিটাও উঠেছিল জমে। কিন্তু বাজে শট খেলে মাহমুদউল্লাহ ফিরে গেলে ভাঙে তাদের ৬১ রানের জুটি। নাভিদ-উল-হকের বল ব্যাটের নিচের দিকে লেগে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন মাহমুদ ২৫ রান করে। তার পর পরই আউট মুশফিক (৫১ বলে ৩৮)। রহমত শাহর বলে প্রিয় স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে তিনি ধরা পড়েন স্কয়ার লেগে।

বাংলাদেশের মশাল তখন সাকিব আল হাসানের হাতে। প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে খেলেছিলেন ঝোড়ো ইনিংস। দ্বিতীয় ওয়ানডেও তার দিকে তাকিয়ে ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু প্রত্যাশার জবাবটা ঠিকঠাক দিতে পারলেন না তিনি। মোহাম্মদ নবীর বলে এই অলরাউন্ডার ফিরে গেছেন এলবিডাব্লিউ হয়ে। আউট হওয়ার আগে ২১ বলে করেছেন ১৭ রান। তার পর ফিরে যান সাব্বির রহমানও, রশিদ খানের বলে এলবিডাব্লিউয়ের শিকার তিনিও (৪)।

মূলত মাহমুদ আউট হওয়ার পর পথ হারায় বাংলাদেশ। এর পর আর কেউই ধরতে পারেননি দলের হাল। অভিজ্ঞদের ব্যর্থতার দিনে অভিষেকেই চাপ থেকে দলকে টেনে তোলার দায়িত্ব কাঁধে নেন মোসাদ্দেক। তাতে তিনি সফলও, হতাশা কেবল যোগ্য সঙ্গী না পাওয়ার।

মন্তব্য করুন


 

Link copied