বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে গুনাইগাছ ইউনিয়নের নেফরা গ্রাম থেকে তাকে আটক করে।
জানা গেছে, জেলার উলিপুর উপজেলার সাতদরগা নেছারিয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবুল কাশেম এর কন্যা পাশ্ববর্তী বালিকা আলিম মাদ্রাসার ছাত্রী। গত রোববার সকাল ৮টার দিকে ছাত্রীটি প্রাইভেট পড়ে তার সহপাঠিদের সাথে বাড়ী ফেরছিল। এসময় একই মাদ্রাসার মহাদ্দেস ফকরুল ইসলামের পুত্র শিহাবুল ইসলাম সিহাব ঈদগাহ মাঠের কাছে ছাত্রীটির পথ রোধ করে নানা অঙ্গভঙ্গি ও অশ্লিল ভাষায় তাকে উত্যাক্ত করতে থাকে। তখন হোকডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয়ে সাবেক প্রধান শিক্ষক সফিকুল ইসলাম রাজু সেখানে উপস্থিত হয়ে ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাকেও অভিযুক্ত ছাত্র অশ্রাব্য ভাষায় গালাগাল ও শারীরিক লাঞ্চিত করে। এ ঘটনা দ্রুত এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও অবিভাবক মহলে তীব্র ক্ষোভ ও উত্তেজনা দেখা দেয়।
ঐ দিনই সাতদরগাহ বালিকা আলিম মাদ্রাসার অবিভাবক সদস্য শফিকুল ইসলাম ঘটনার বিচার চেয়ে উলিপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগের ৩দিন পর গত বুধবার দুপুরে এস আই জুলফিকার তাকে ওই গ্রাম থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে। একটি প্রভাবশালীমহল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
অন্যদিকে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে চালানো তদন্তে ঘটনার সত্যতা মিলেছে বলে সংশ্লিষ্ট কমিটি জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এসকে আবদুল্লা আল সাঈদ জানান জিঙ্গাসাবাদ শেষে এ ব্যাপারে আইনী প্রক্রিয়া গ্রহন করা হবে।