ওই আটটি ইউপিতে ৩৯ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে একমাত্র নারী প্রার্থী মোছা. মুর্শিদা আক্তার। তিনি বোদার কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউপি থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাঁর প্রতীক ঘোড়া।
মুর্শিদা আক্তার বিলুপ্ত ছিটমহলেই জন্মেছেন, বেড়ে উঠেছেন। এখন ইউপি চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছেন। এলাকার উন্নয়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে চান।
এলাকার কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একদল নারী কর্মীর পাশাপাশি পুরুষ কর্মীদের নিয়ে মুর্শিদা দিন-রাত প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। মোটরসাইকেল, রিকশা-ভ্যান আর সাইকেলের বহর নিয়ে এ-গ্রাম থেকে ও-গ্রামের ভোটারদের কাছে ছুটছেন। পাড়ায় পাড়ায় চলছে বৈঠক। হাটবাজারেও চলছে গণসংযোগ। নারী হিসেবে পিছিয়ে নেই এই চেয়ারম্যান প্রার্থী। ওই ইউনিয়নে ভোটার সংখ্যা ১৮ হাজার ৩০৫। এর মধ্যে অর্ধেকেরও বেশি ভোটার নারী। নারী ভোটারদের পাশাপাশি পুরুষ ভোটাররাও তাঁকে সমর্থন দিচ্ছেন। অনেকে মনে করছেন, তিনি নির্বাচনে জয়ী হয়ে চমক দেখাতে পারেন।
বিলুপ্ত নাজিরগঞ্জ ছিটমহল এলাকার বাসিন্দা মোশাররফ হোসেনের মেয়ে মুর্শিদা। কালিয়াগঞ্জ বালিকা বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণি পর্যন্ত তিনি লেখাপড়া করেছেন। কাজলদিঘী কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের পেয়াদাপাড়া এলাকার মো. ফরহাদ হোসেনের সঙ্গে ২০০৩ সালে তাঁর বিয়ে হয়। পেশায় মুর্শিদা একজন পল্লি চিকিৎসক। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগের সদস্য।
কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়া এলাকার নারী কর্মী আনোয়ারা বেগম, সুইপাড়া এলাকার বিউটি বেগম ও দইখাতা গ্রামের দয়া রানী বলেন, নারীদের অনেক সমস্যা আছে, যেগুলো মুখ ফুটে সবার কাছে বলতে পারেন না। অনেক কারণেই নারীরা সমাজে তাঁদের অধিকার আদায় করতে পারেন না। তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে তাঁরা তাঁদের সমস্যার কথা বলতে পারেবন।
এ ব্যাপারে মুর্শিদা আক্তার বলেন, ‘আমি সততা নিয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি। আমি নিজেও দুর্নীতি করব না। এখানে নারী ভোটার বেশি। আমরা নারীরা একত্র হব, নারীদের যুদ্ধে আমরা জয়ী হব ইনশাআল্লাহ। আমি নির্বাচিত হলে এলাকার উন্নয়নের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন, নারীদের আর্থসামাজিক উন্নয়ন, তাঁদের শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবায় মনোনিবেশ করব। এ ছাড়া বাল্যবিবাহ, ইভ টিজিং ও মাদকের বিষয়ে নারী-পুরুষের সমন্বয়ে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলব।’