বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় আটোয়ারী মির্জা গোলাম হাফেজ ডিগ্রি কলেজ গেটের সামনে পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও মহা সড়কে ঘন্টাব্যাপি মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার সচেতন নাগরীক এর উদ্যোগ্যে মানববন্ধনে স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ এলাকার গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। এসময় বক্তারা তেঁতুলিয়ার ভজনপুরে গ্রাম্য সালিশে বর্বরতম নারী নির্যাতনে ত্রিব্য প্রতিবাদ ও অপরাধীদের দ্রিষ্ঠান্তমূলক শাশিÍর দাবি জানান।
উল্লেখ্য, বর্বরতার এ ঘটনাটি ঘটেছে গত ২৭ সেপ্টেম্বর পঞ্চগড় জেলার তেঁতুলিয়া উপজেলার ভজনপুর ইউনিয়নের ডিমাগছ গ্রামের হজিবুল ইসলামের স্ত্রী আমেনা খাতুনের উপর পরকিয়ার অভিযোগ এনে তার স্বামী ও এলাকাবাসী বিচারের জন্য তাকে ভজনপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মকসেদ আলীর কাছে নিয়ে যায়। ওই দিন রাতে সালিশের নামে ইউপি ভবনে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের উপস্থিতিতে মহিলাটিকে শত শত মানুষের সামনে হাতুরি পিটা করে বেধরক মারপিট এবং বাঁশডলা দেয়া হয়।
এমনকি গ্রাম্য পুলিশের নারী সদস্যদের নিয়ে চেয়ারম্যানের হুকুমে ওই নারীর যৌনাঙ্গে মরিচের গুড়া ঢেলে দেয়। এ সময় ওই নারী যন্ত্রণায় বার অজ্ঞান হয়ে পড়লেও কারো কোন দয়া হয়নি। পরে ওই গ্রামের কেসারুল, বশিরুল ও আশরাফুলসহ ২০ থেকে ২৫ জন গ্রামবাসী ওই নারীকে জোরপূর্বক মাথা নেড়া করে দেয়। বিচারের নামে নির্যাতনের এ ঘটনাটির পর থেকে স্থানীয় সমাজপতিরা তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করেছে। এমনকি বিচারের পর থেকেই নির্যাতনের শিকার নারীকে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।