দিনাজপুরে ইয়াবার চালানকে কেন্দ্র করে মঞ্জুরুল ইসলাম নামে এক যুবক হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার যুবলীগ নেতা গোলাম মির্জা মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনদিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।
মঙ্গলবার দুপুরে জেলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এফএম আহসানুল হক এ আদেশ দেন। সেই সঙ্গে গ্রেফতার দুই যুবলীগকর্মীর রিমান্ড শুনানি জন্য আগামী ১০ নভেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
গত বৃহস্পতিবার যুবলীগের গোলাম মির্জা মামুনকে সাতদিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার বর্মণ।
এই মামলায় গ্রেফতার অপর দুই যুবলীগের কর্মী মোস্তা হাসান মিথুন ও সুপারি গ্রুপের শামীম। তাদের আদালতে সোপর্দ করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে ১০ নভেম্বর রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করে দুজনকে কারাগারে পাঠান আদালত। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই শ্যামল কুমার বর্মণ এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, অভিযুক্ত যুবলীগের গোলাম মির্জা মামুনকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নেয়া হয়েছে। এই হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত অন্য আসামিদের গ্রেফতার করতে অভিযান শুরু হয়েছে।
গত ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে মঞ্জুরুল ইসলাম নামে ওই যুবক বাসায় ফিরেনি। ২৬ অক্টোবর মোবাইল ফোনে পরিবার জানতে পারে মঞ্জুরুল ইসলাম দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। সেখানে গিয়ে তারা মঞ্জুরুল ইসলামের কাছে জানতে পারেন ট্রাকের মালিক মির্জা মামুনের নেতৃত্বে জনৈক তরিকুল, সিরাজুল সালেকিন রানাসহ ৫-৬ জন গত ২৫ অক্টোবর মঙ্গলবার রাতে তাকে তুলে নিয়ে যান।
এরপর উপশহর ১ নং ব্লকের বেগম তৈয়বা বেগম রেডক্রিসেন্ট ব্লাড ব্যাংকে আটকে রেখে সারারাত নির্যাতন করেন। পরে অসুস্থ অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনায় নিহতের বড় ভাই মতিউর রহমান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সিরাজুল সালেকিন রানা ও যুবলীগের গোলাম মির্জা মামুন, তারিকুল ইসলামসহ ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীসহ ১১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ১৫ জনকে আসামি করা হয়।