রাজ্যসভায় সংসদ সদস্য ঝর্ণা দাস বৈদ্যের লিখিত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অবৈধ বাংলাদেশিদের সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। বৈধ কাগজপত্র ছাড়াই বাংলাদেশিরা ভারতে ঢুকছে বলে সরকারের কাছে খবর রয়েছে।’
তবে গোপনে অনুপ্রবেশের কারণে এসব বাংলাদেশির সঠিক সংখ্যা এখন পর্যন্ত সরকারের কাছে নেই। ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এসব বাংলাদেশি ছড়িয়ে রয়েছেন। এ ধরনের অবৈধ নাগরিকদের বের করার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানান দেশটির স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
বক্তব্যদানকালে কিরণ রিজ্জু অবৈধ বাংলাদেশিদের এই সংখ্যাকে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি বলেন, ইউপিএ জোট ক্ষমতায় থাকাকালে ২০০৪ সালে জানিয়েছিল, অবৈধ বাংলাদেশিদের এই সংখ্যা ছিল প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ। শিগগিরই তাদের বের করা হবে বলে জানান তিনি।
২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের প্রচারের সময়ই বিজেপির প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী নরেন্দ্র মোদি জানিয়েছিলেন, ক্ষমতায় এলে অবৈধ বাংলাদেশিদের তিনি বের করে দেবেন। নির্বাচনী প্রচারণাকালে বলেছিলেন, শুধু ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহারের জন্য এসব অবৈধ নাগরিকদের আশ্রয় প্রশ্রয় দিয়েছে রাজনৈতিক নেতারা।
আরেকটি প্রশ্নের জবাবে কিরণ জানান, ২০০৪ সালের হিসাবে অবৈধ ১২ কোটি ৫৩ হাজার ৯৫০ জন বাংলাদেশি ১৭টি রাজ্যে বসবাস করতেন। যদিও তখন থেকেই এসব অবৈধ নাগরিকের বের করে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিল বিজেপি সরকার।
তবে এসব অবৈধ বাংলাদেশিকে বের করার বিষয়ে কোনো প্রতিহিংসা কাজ করছে না বলেও জানান ভারতের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। এ প্রক্রিয়া স্বাভাবিক বলেই তিনি জানান। কিরণ রিজ্জু বলেন, ‘ভারতের সাংবিধানিক আইন মেনেই এ ফেরত প্রক্রিয়া চালানো হবে।’