মঙ্গলবার দুপুরে কালির হাটের দাসিয়ারছড়া বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে ১৮৬৯ জন ছিটবাসীদের মাঝে ভিজিডি কার্ড বিতরন করা হয়। এসময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, মহিলা ও শিশু বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহিন আহমেদ চৌধুরী, জেলা প্রশাসক খান মোঃ নুরুল আমিন, পুলিশ সুপার মো তবারক উল্ল্যাহ ও ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেবেন্দ্রনাথ উড়াও প্রমুখ।
বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময়ের পর এই প্রথম বিলুপ্ত ছিটমহলের ২০ থেকে ৫০ বছর বয়সের প্রত্যেক পরিবারের নারী সদস্যদের মাঝে ভিজিডি কার্ড বিতরন করা হয়। এ কর্মসূচীর আওতায় দুই বছর মেয়াদে প্রতিমাসে ৩০ কেজি করে চাল পাবেন সুবিধা ভোগীরা।
পরে একই মাঠে মহিলা সমাবেশে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, ছিটমহলের দীর্ঘ দিনের সমস্যার সমাধান করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে বাংলাদেশের জনগণ যে সুবিধা ভোগ করেছিল এখন বিলুপ্ত ছিটমহলবাসীদের সে সকল সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তিন মাসের মধ্যে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়া হয়েছে। ভিজিডি কার্ড বিতরন করা হলো। বিলুপ্ত ছিটের নারীদের জন্য ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করা হবে। শুধু তাই নয় শিশুদের প্রাক প্রাথমিক শিক্ষার জন্য ১৫ টি স্কুল চালু রয়েছে।
এর আগে মেহের আফরোজ চুমকি বিলুপ্ত ছিটের বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন। বিকেলে তিনি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার হতদরিদ্র মহিলাদের মাঝে নগদ অর্থ বিতরন ও মহিলা সমাবেশে বক্তব্য রাখেন।