বুধবার দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় সিতল কমিউনিটি সেন্টারে তারা আত্মসমর্পণ করেন।
আত্মসমর্পণ করা জঙ্গিরা হলেন দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার লোহারবান গ্রামের মন্দেল হোসেনের ছেলে হাফেজ মো. মাসুদ রানা ওরফে হাফেজ মাসুদ (১৮), একই উপজেলার বিন্নাগাড়ি গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (১৬) ও একই উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের মো. সারোয়ার হোসেনের ছেলে আক্তারুল (১৮)।
এ সময় অত্মসমর্পণকারী হাফিজুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন, গত ঈদুল ফিতরের দিন শোলাকিয়ায় হামলার পর শফিউল ধরা পড়লে তিনিসহ কয়েকজন ভীত হয়ে পড়েন।
হাফিজ বলেন, তখন আমি বুঝতে পারি আমরা ভুল পথে এসেছি। এরপর সিদ্ধান্ত নেই আত্মসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যাবো।
আত্মসমর্পণকারী জেএমবির এই সদস্য বলেন, সিদ্ধান্তের পর র্যাবের সঙ্গে যোগাযোগ করি যে, সুযোগ থাকলে আমি স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই। সেই পরিপ্রেক্ষিতে আজ আমিসহ আমরা কয়েকজন আত্মসমর্পণ করলাম।
এখনও যারা জঙ্গি কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত হাফিজ তাদের উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি চাই এই ভুল পথ থেকে তারাও ফিরে আসুক। প্রশাসন আমাদের মতোই তাদেরও সহায়তা করবে।
পরে সরকারের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী আত্মসমর্পণ করা তিন জঙ্গির প্রত্যেককে পুনর্বাসনের জন্য পাঁচ লাখ টাকার চেক তুলে দেন মন্ত্রী।
আত্মসমর্পণকারীরা কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলায় অংশগ্রহণকারী জঙ্গি শফিউলের সহযোগী হিসেবে কাজ করতেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকার পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা, টিপু মুন্সি এমপি, র্যাবের মহাপরিচালক বেনজির আহমেদ, রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি গোলাম ফারুকসহ প্রমুখ।