জানা যায়, কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নের খাসশুরিবেড় গ্রামের মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে ও কাজিপুর উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী স্বাস্থ্য পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম(৫০) গত ৩ বছর আগে আদর্শ কেজি স্কুল নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি গড়ে তোলেন। ৬/৭ মাস আগে তিনি স্কুলটিতে এক শিক্ষিকাকে নিয়োগ দেন।
নিয়োগের পর থেকেই জাহাঙ্গীর ওই শিক্ষিকাকে যৌন হয়রানি করে আসছিলেন। গত ৪ ডিসেম্বর পরিচালক জাহাঙ্গীর ওই শিক্ষিকাকে মোবাইলে কুপ্রস্তাব দিলে কথাগুলো মোবাইলে রেকর্ড করে তার বাবাকে জানান। পরে শিক্ষিকার বাবা স্থানীয় মাতুব্বরদের বিষয়টি অবগত করে বিচার প্রার্থনা করেন।
জাহাঙ্গীর এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা পয়সা দিয়ে শিক্ষিকার পরিবার ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ম্যানেজ করার চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের মাঝে ঘটনাটি জানাজানি হলে বিক্ষুব্ধ জনতা গত ৪ ডিসেম্বর ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়। একই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করে দেয় ও জাহাঙ্গীর আলমের শাস্তি দাবি করে।
এ নিয়ে বুধবারও এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেন তারা। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।
ওই শিক্ষিকার বাবা বুধবার বলেন, আমি এ ঘটনার জন্য স্কুলের পরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের বিচার দাবি করছি।
এ বিষয়ে সব অভিযোগ স্বীকার করে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ' ওই শিক্ষিকার সঙ্গে আমার চমৎকার সম্পর্ক। তাই মোবাইলে একটু দুষ্টুমি করেছি। বিষয়টি এতো বড় আকার ধারণ করবে তা জানা ছিলো না। তবে এটি মীমাংসার চেষ্টা চলছে।'
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান চাঁন বলেন, 'এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। তবে ২/১দিনের মধ্যে বসে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে।'