আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

কুড়িগ্রামের ধরলা নদীতে ৪ দিনব্যাপী নৌকা বাইচ শুরু

শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর ২০১৬, রাত ০৯:০৬

কুড়িগ্রাম সদরের ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের জগবন্ধুর চর এলাকায় ধরলা নদীর পাড়ে ৪দিনব্যাপী নৌকা বাইচ প্রতিযোগাতার আয়োজন করেছে স্থানীয় নৌকা বাইচ কমিটি। বুধবার বিকেল থেকে কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা ও রংপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা দুরন্ত চিতা, হাসি-খুশি, বাংলার বাঘ, একতা এক্সপ্রেস, ভাই-বোন, দাদা-নাতি, দশবন্ধু ও দশের দোয়াসহ ২০টি নৌকার দল প্রতিযোগীতা শুরু করেছে। শনিবার ফাইনাল খেলা ও পুরস্কার বিতরনের মধ্যদিয়ে শেষ হবে নৌকা বাইচ। নৌকা বাইচের প্রথম পুরস্কার একটি মটর সাইকেল, দ্বিতীয় পুরস্কা একটি গরু, তৃতীয় পুরস্কার একটি রঙ্গিন টেলিভিশন ও চতুর্থ পুরস্কার একটি মোবাইল ফোন।

শুধু এলাকাবাসী নয়, গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এ নৌকা বাইচ দেখতে প্রতিদিন দুর-দুরান্ত থেকে ছুটে আসছে বিপুল সংখ্যক মানুষ।

ক্রিকেট, ফুটবলসহ বিভিন্ন খেলায় নিজেদেরকে ডুবিয়ে রাখলেও গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী এসব খেলা দেখতে এসেছে নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরাও।

সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন থেকে নৌকা বাইচ দেখতে আসা সাইদ সরকার জানান, বাপ-দাদার আমলের এসব গ্রামীণ খেলা এখন নেই বলতেই চলে। শুকনো মৌসুমে নদীতে আর আগের মতো পানি থাকে না। এখানে নৌকা বাইচের কথা শুনে দেখতে এসেছি। হাজার হাজার মানুষ ধরলার তীরে দাড়িয়ে নৌকা বাইচ উভোগ করছে। অনেকদিন পর নৌকা বাইচ দেখে আনন্দে মনটা ভরে গেছে।

জগবন্ধুর চরের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম জানান, আমরা নদী পাড়ের চরের মানুষ। নদ-নদী ভাঙ্গনের কারনে আমরা সব সময় কষ্টের সাথে বসবাস করি। প্রতি বছর এ নৌকা বাইচের মাধ্যমে আমরা অতীতের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে যাই।

নৌকা বাইচের আয়োজক কমিটির সভাপতি ভোগডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান জানান, বাপ-দাদার অতীত ঐতিহ্য ধরে রাখার পাশাপাশি বিশেষ করে নদ-নদী তীরবর্তী ভাঙ্গন কবলিত মানুষজনের মনে আনন্দ দিতে নিজস্ব উদ্যোগে প্রতিবছর এ নৌকা বাইচের আয়োজন করা হয়। এবার নিয়ে গত ৭ বছর ধরে এই এলাকার ধরলা নদীতে নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা হয়ে আসছে। আগামী বছর গুলোতেও এ নৌকা বাইচ প্রতিযোগীতা অব্যাহত থাকবে।

নৌকা বাইচসহ প্রতিবছর অতীতের হারানো গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলাগুলোর আয়োজন করা হলে তা আনন্দ জোগাবে নদ-নদী পাড়ের সাধারণ মানুষের মনে এমনটাই চাওয়া সবার।

মন্তব্য করুন


 

Link copied