আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

১১ ডিসেম্বর ডিমলা হানাদার মুক্ত দিবস

শনিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০১৬, দুপুর ০৪:৩৯

আগামীকাল ১১ ডিসেম্বর রবিবার নীলফামারীর তিস্তা নদী বিধৌত ডিমলা উপজেলাকে হানাদার মুক্ত করেছিল ছয় নম্বর সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা। ফলে ১৯৭১ সালের এই দিনটিকে স্মরন করে রাখতে উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড বিভিন্ন কর্মসুচি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সামসুল হক। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চের কালো রাত্রীতে হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে ডিমলার মুক্তিযোদ্ধারা অস্ত্র হাতে গড়ে তুলেছিল প্রতিরোধ। মূলত নভেম্বর এর প্রথম সপ্তাহ থেকে শরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতিরোধের মুখে পাক-বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় ডিমলা। বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব আশরাফ আলীর জানান, ১৫ অক্টোবর এ অঞ্চলের দুই জন বাঙ্গালী মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহনের কথা বলে তারা মুক্তিযুদ্ধে না গিয়ে  ডাঙ্গারহাটের পাশ দিয়ে পাকিস্থানী ক্যাম্পে যায়। সেখান থেকে ফেরত আসার সময় মুক্তিযোদ্ধারা তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে তারা বলে আমরা মুক্তিযুদ্ধে যেতে চেয়েছিলাম কিন্তু আমাদেরকে আনফিট ভেবে মুক্তিবাহীনির ক্যাম্প থেকে ফেরত পাঠিয়েছে। এরপর থেকে তাদের দু’জনকেই আর খুঁজে পাওয়া যায়নি। এ ঘটনার দুই/তিন দিন পরেই অর্থাৎ ১৮ অক্টোবর ডাঙ্গারহাটসহ মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাটি হিসেবে ডিমলার ডাঙ্গারহাট, টুনিরহাট, শুটিবাড়ী ও গয়াবাড়ী এলাকাগুলি পাক-বাহিনীরা ভোরে একযোগে এসব এলাকার প্রায় সহ¯্রাধিক পরিবারের ঘর-বাড়ী অগ্নিসংযোগ করে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় সাধারণ জনগণের মধ্যে শুধুমাত্র ডাঙ্গার হাটেই নিহত হয় ১১ জন। যা এখন ডাঙ্গার হাট ট্রাজেডী নামে পরিচিত। নিহত হয় উল্লেখিত এলাকাগুলির প্রায় শতাধিক সাধারণ মানুষ। তিনি বলেন, আসেল ঐ দুই জন ছিলো পাক সেনাদের গুপ্তচর ও রাজাকার। ৭১’এর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পের সিদ্দিক কোম্পানী ৬ নভেম্বর মুক্ত করা হয়। এসময় পাক সেনাদের সাথে সম্মুখ যুদ্ধ কালে সাধারণ মানুষ প্রাণ দেয় ৬ জন। মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম সরকার বলেন স্বাধীনতার ৪৫ বছর অতিবাহিত হলেও দেশটির এখনও রাজাকার মুক্ত হতে পারেনি। মিলেনি মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি। এ জন্য তিনি এ মহান মুক্ত দিবসের এই দিনে উপজেলায় প্রায় ১৫৯ জন রাজাকার রয়েছে তাদের বিচারের আওতায় এনে ডিমলাকে রাজাকার মুক্ত ঘোষনা করতে সরকারের প্রতি আহবান জানান।

মন্তব্য করুন


 

Link copied