আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯       স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

কলা গাছের শহীদ মিনারেই শ্রদ্ধাঞ্জালী

শুক্রবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৬, বিকাল ০৬:০২

 নিয়াজ আহমেদ সিপন, লালমনিরহাট প্রতিনিধি॥নিভৃত্য পাড়া গাঁয়ে গড়ে উঠা বিদ্যালয়ে পাঠদান চললেও নেই কোন শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধ। ইট পাথরের শহীদ মিনার নেই তাতে কি। নিজ হাতে গড়া কলা গাছের প্রতিকী শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জালী জানায় ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। বৃহস্পতিবার(১৫ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার সারপুকুর ইউনিয়নের নামুড়ি চন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা তৈরী করে এ শহীদ মিনার। বিদ্যালয় সুত্রে জানা গেছে, অবহেলিত এ অঞ্চলে শিক্ষার আলো ছড়াতে ১৯৯১ সালে নামুড়ি চন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়টি প্রতিষ্ঠিত হয়। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় পড়াশুনা চালিয়ে যায় শিক্ষার্থীরা। চলতি মাসে বিদ্যালয়টি জাতীয় করনের জন্য গেজেট প্রকাশিত হয়। এ বিদ্যালয়ে প্রাক-প্রাথমিক থেকে ৫ম শ্রেনী পর্যন্ত পড়ার সুযোগ পাচ্ছে এ অঞ্চলের শিশুরা। বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার ২৫ বছর হলেও বিদ্যালয়টিতে নির্মান করা হয় নি শহীদ মিনার। দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জানান, বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস ও ভাষা দিবসের মত জাতীয় দিবসগুলোতে দেশ মাতৃকার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জানাতে কোন শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধ নেই এ বিদ্যালয়ে। তাই বলে কি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জালী নিবেদন হবে না। এ জন্য নিজেরাই বিদ্যালয় মাঠের এক পাশ্বে কলা গাছের প্রতিকী শহীদ মিনার তৈরী করে মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জালীর জন্য প্রস্তুত করেছে ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা। কলা গাছে খোলেই তৈরী করা হয়েছে শহীদ বেদি। বিদ্যালয়টির ৪র্থ শ্রেনীর শিক্ষার্থী সুমাইয়া খাতুন সাথী, জান্নাতী আক্তার ও মর্জিনা খাতুন জানায়, শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সবাই শহীদ মিনার বা স্মৃতিসৌধে যাবেন। কিন্তু তাদের বিদ্যালয়ে যেহেতু শহীদ মিনার নেই। তাই তারা কয়েকজন শিক্ষার্থী মিলে কলা গাছের এ শহীদ মিনার প্রস্তুত করেছে। শিশু শিক্ষার্থী রিফাত, জনি, রিমন ও তাসলিমা জানান, শহীদ মিনার হচ্ছে একটা প্রতিক মাত্র। শ্রদ্ধা নিবেদনটাই আসল। তাই ইটের হোক আর কলা গাছের হোক আমরা মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই কলা গাছের শহীদ মিনার করেছি। নামুড়ি চন্দ্রপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দ্বিজেন্দ্র নাথ বর্ম্মন জানান, বিদ্যালয়টি সবেমাত্র গেজেট হয়েছে। সরকারী অনুদান না পাওয়ায় অবকাঠামোসহ শহীদ মিনার তৈরী করা সম্ভব হয় নি। শিক্ষার্থীরা নিজেরাই কলা গাছে শহীদ মিনার তৈরী করেছে। সেখানেই শ্রদ্ধাঞ্জালী দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। আদিতমারী উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আবু নাসির জানান, সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন


 

Link copied