আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: রংপুর বিভাগ থেকে ২০ বছরে ২ লাখ ২৭ হাজার কর্মী বিদেশ গেছেন       দিনাজপুরে ছিনতাইকৃত মালামাল উদ্ধারসহ ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য গ্রেপ্তার        জমি রেজিস্ট্রি করে না দেয়ায় বাবাকে কবর দিতে ছেলের বাঁধা ॥ পুলিশের হস্তক্ষেপে দাফন       নীলফামারীতে স্বামীর প্রথম বিয়ের খবরে নববধূ দ্বিতীয় স্ত্রীর আত্মহত্যা ॥ স্বামী গ্রেপ্তার       রংপুরবাসীর জন্য সরকারি চাকরি, পদ ১৫৯      

 width=
 

রাজশাহীতে দুই এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ

সোমবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৬, সকাল ০৯:৫৬

 রাজশাহী প্রতিনিধি : রাজশাহীতে ক্ষমতাসীন দলের দুই এমপির বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগ দেওয়া হয়েছে নির্বাচন কমিশনে। রাজশাহী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার কাজী আশরাফ উদ্দীনের কাছে লিখিতভাবে এ অভিযোগ দাখিল করেছেন। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত শনিবার দিনভর রাজশাহী-১ আসনের এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী বনভোজনের নামে ও রাজশাহী-৫ আসনের এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারা পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলার সকল ভোটারদের নিয়ে পৃথক পৃথক সভা করেন। এ সভায় তিনি ভোটারদের মাহবুব জামান ভুলুকে তালগাছ প্রতীকে ভোট দিতে নির্দেশ দেন। এতে নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্ঘন হয়। এমপি দারা দুই সভায় ভোটারদের বলেন, দলীয় প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার প্রমাণ হিসেবে সিলমারা ব্যালটের ছবি মোবাইল ফোনে তুলে আনতে হবে বুথ থেকে। কেন্দ্রের বাইরে দলীয় প্রার্থীর পর্যবেক্ষকদের তা দেখাতে হবে। এসব বিষয়কে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন দাবি করে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকার দুই এমপির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন। ভোট কেন্দ্রে প্রবেশের সময় ভোটারদের মোবাইল ফোন সঙ্গে নিতে না দেওয়ারও জোর দাবি করেন তিনি। অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে রিটার্নিং অফিসার ও রাজশাহীর জেলা প্রশাসক কাজী আশরাফ উদ্দীন বলেন, তিনি ব্যস্ত থাকায় অভিযোগটি এখনো দেখতে পারেননি। তবে আচরণবিধি লঙ্ঘনের প্রমাণ পেলে সংশ্লিষ্টদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এদিকে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোহাম্মদ আলী সরকারের একজন নির্বাচনী কর্মী বলেন, শনিবার এমপি দারা ভোটারদের শাসানো ও প্রলোভন দেখানোর পর রোববার পুঠিয়া ও দুর্গাপুরের ভোটাররা ইউনিয়ন পরিষদে আসেননি। রোববার সকালে পুঠিয়ার ভালুকগাছি ইউনিয়ন পরিষদে ভোট চাইতে যান মোহাম্মদ আলী সরকার। কিন্তু তিনি গিয়ে দেখেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল করিম শেখ ছাড়া কেউ সেখানে নেই। একইভাবে পুঠিয়া সদর ইউনিয়ন পরিষদে গেলেও চেয়ারম্যান ও সদস্যদের কাউকেই পাননি। পরে চেয়ারম্যানের বাসায় গিয়ে তার সঙ্গে সাক্ষাত করেন মোহাম্মদ আলী সরকার। ভালুকগাছি ইউপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুল করিম শেখ বলেন, ‘সত্য কথা বলতে অসুবিধা নাই, এমপি সাহেবের ভয়ে মেম্বাররা পরিষদে আসেননি। কালই তিনি (এমপি) ভোটারদের নিয়ে নির্বাচনী সভা করে নিজের প্রার্থীর জন্য ভোট চাইলেন। আর আজ অপর প্রার্থীর সঙ্গে দেখা করলে সমস্যা হতে পারে, এমন ভয়ে তারা আসেননি।’ খোদ ভোটারদের এমন আতঙ্কের বিষয়ে কথা বলতে রোববার রাত ৯টার দিকে এমপি আবদুল ওয়াদুদ দারার ব্যক্তিগত মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে সেটি বন্ধ থাকায় এ ব্যাপারে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied