আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

 width=
 
শিরোনাম: কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর      

 width=
 

"দুঃখের কাহিনী কইলে রাত পোহায় না"

শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৬, দুপুর ০২:৫২

তাদের একজন পাটগ্রামের ধরলার পাড়া এলাকার বীরমুক্তিযোদ্ধা সফিয়ার রহমান জানান, যুদ্ধকালীন সময়ের টকবগে এ যুবক দেশ মাতৃকার মুক্তি কামনায় কয়েকজন বন্ধসহ ভারতের মুজিব ক্যাম্পে প্রশিক্ষণ নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েন হানাদের বাহিনীকে বিতারিত করার মহান ব্রত নিয়ে।

বাংলাদেশের ভুখন্ডে থাকা একমাত্র ৬নং সেক্টরের অধিনায়ক খাদেমুল বাশারের নেতৃত্বে লালমনিরহাট জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে যুদ্ধ করেন তিনি। স্মৃতি চারন করতে গিয়ে সফিয়ার রহমান বলেন, পাক বাহিনীর নতুন নতুন দামি অস্ত্রের মুখে আমরা(মুক্তিবাহিনী) ছিলাম বড়ই অসহায়। কিন্তু পাক সেনারা বড় বড় অস্ত্র ব্যবহার করলেও তারা ছিল ভিরু। মুক্তিবাহিনীর সাহসের কাছেই তারা হেরে যেত। তাই তারা ৬ডিসেম্বর ভোরেই লালমনিরহাট ছেড়ে পালানোর সময় তিস্তা রেল সেতু উড়িয়ে দিয়ে পালিয়ে যায়।

সদর উপজেলার বড়বাড়ি গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা জয়েন উদ্দিন জানান, স্বাধীনতা এমনিতেই আসে নি। এ দেশের জন্য শুধু পানি খেয়েই দুই দিন কেটে গেছে। রাজাকারদের কারণে পাক বাহিনীর কাছে একদিন একটি ঝঙ্গলে অতœগোপনে ছিলেন তারা প্রায় ২০জন সহযোদ্ধা। “সেই দিনের দুঃখের কথা কইলে রাত পোহায় না” যোগ করেন মুক্তিযোদ্ধা জয়েন উদ্দিন।

আদিতমারী উপজেলার মহিষখোচার বীরমুক্তিযোদ্ধা লুৎফর রহমান বলেন, যুদ্ধ শেষে বাড়ি ফিরে দেখি রাজাকারের সহায়তা পাকসেনারা তার ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিয়েছে। বর্তমান সরকার রাজাকারদের ফাসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদ্বন্ড কার্যকর করায় শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। সেই সাথে বাকি রাজাকার আল বদর আল সামসদেরও পর্যাক্রমে ফাসিতে ঝুলাতে আহবান জানান তিনি।

সদর উপজেলার কুলাঘাটের মুক্তিযোদ্ধা আকবর আলী জানান, ৫ ডিসেম্বর রাতে লালমনিরহাট সদর উপজেলার বড়বাড়ি এলাকায় পাকবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমন করেন বেশ কিছু মুক্তিবাহিনীর সদস্য। রাতভর চলে সম্মুখ যুদ্ধ। বৃষ্টিতে ভিজেই প্রতিরোধ গড়ে তুলেন তারা। ওই রাতে তার চোখের সামনে কয়েকজন মুক্তিবাহিনীর সদস্য শহীন হন। অবশেষে ভোর হতে না হতেই পাকবাহিনী পালিয়ে লালমনিরহাট ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। তারপর ওই এলাকার রাজাকাররা অস্ত্র জমা দিয়ে আতœসমার্পন করে। তাদের অস্ত্র গরুর গাড়িতে করে ৬ নং সেক্টরে পাঠানো হয়।

সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা নুরল হক, আব্দুর রহমান, আজিজুল ইসলাম ও শমসের আলী জানান, যুদ্ধকালীন এমস এক একটি দিন ছিল হাজার বছরের চেয়েও দীর্ঘ। সারাদিন পাকবাহিনী দেশের নিরীহ মানুষের উপর নির্যাতন চালিয়ে হত্যা করেছে। রাত হলেই তারা ক্যাম্পে থাকত। তাই রাতেই অভিযান চালাতেন মুক্তিবাহিনীর যোদ্ধারা। ১৯৭১ সালের রাজাকারদের মৃত্যুদ্বন্ড কায়কর করায় ক্ষমতাশীন দলকে অভিনন্দন জানান তারা।

মন্তব্য করুন


 

Link copied