নিহত নাজমা খাতুনের বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার জয়কৃষ্ণপুর টালিবাজার এলাকায়। তার বাবার নাম আবু তাহের। নাজমা রাজশাহী কলেজ থেকে স্নাতক উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। তবে স্নাতকোত্তরে ভর্তির জন্য তিনি কলেজের হোস্টেলেই থাকতেন।
কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর হবিবুর রহমান জানান, ছাত্রী হোস্টেলের ১১৫ নম্বর কক্ষে নাজমাসহ দু’জন থাকতেন। নাজমার রুমমেট কয়েকদিন আগে গ্রামের বাড়ি গেছেন। নাজমা একাই ছিলেন। শুক্রবার সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়িয়ে এলেও তার কক্ষের দরজা খুলছিল না।
এ সময় অন্য আবাসিক শিক্ষার্থীরা হোস্টেলের কক্ষের দরজা ধাক্কাধাক্কি করেন। এক পর্যায়ে দরজা খুলে যায়। এ সময় তারা জানালার সঙ্গে নাজমার ঝুলন্ত লাশ দেখে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। এরপর পুলিশ লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠায়।
নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহাদাত হোসেন খান জানান, ওই ছাত্রীর কক্ষ থেকে একটি ‘সুইসাইড নোট’ উদ্ধার করা হয়েছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।