আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ শ্রাবণ প্রকাশনী

সোমবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৬, রাত ০৮:২২

বাংলাদেশে প্রতি বছর ফেব্রুয়ারিতে মাসজুড়েই চলে বই মেলা। বাংলা একাডেমি চত্বরের এই আয়োজনকে ঘিরে প্রকাশনা সংস্থা এবং লেখকদের মধ্যে বছর জুড়েই থাকে উৎসাহ। মেলার আর এক মাসের কিছু বেশি সময় বাকি থাকতে প্রকাশনা সংস্থাগুলো যখন প্রস্তুতি চালিয়ে আসছে তখনই এই সিদ্ধান্ত নেয় বাংলা একাডেমি।

এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই সিদ্ধান্তের কথা চাওর হয়ে গেছে এবং এ নিয়ে বাংলা একাডেমির তীব্র সমালোচনা করছেন কেউ কেউ।

জানতে চাইলে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘গত বছর এই প্রকাশনীটি মহানবী (সা.)কে নিয়ে একটি আপত্তিকর বই প্রকাশ করেছিল। আমরা তাদেরকে এই বইটি মেলায় আনতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু তারা কথা শোনেনি। এবারও তারা একই ধরনের একটি বইটি নিয়ে আসতে চাইছিল। এ কারণেই তাদেরকে আগামী দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর বই প্রকাশের জন্য শ্যাবণ প্রকাশনীকে নিষিদ্ধের কথা বললেও প্রতিষ্ঠানটির স্বত্ত্বাধিকারী রবিন আহসান বলেন, এটা ডাহা মিথ্যা। তিনি বলেন, গত ২০ বছরে আমাদের কোনো বই নিষিদ্ধ হয়নি। ধর্ম নিয়ে আজেবাজে বই প্রকাশের মতো অপদার্থ আমি নই। একবার শুধু একটি বই ড. ইউনুসের দারিদ্র্যবাণিজ্য নামে একটি বই নিয়ে কিছুটা সমালোচনা হয়েছিল। এর বাইরে আমাদের বইয়ের কোনো সমালোচনা হয়নি।’

ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর বই থাকার অভিযোগে ২০১৬ সালের বই মেলায় ব-দ্বীপ প্রকাশনার স্টল বন্ধ করে দেয়া হয়। ওই প্রকাশনটি সে বছর ইসলাম বিতর্ক নামে একটি বই প্রকাশ করেছিল। ধর্মভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন বইমেলায় হামলার হুমকিও দিয়েছিল। এরপর বাংলা একাডেমি এই সিদ্ধান্ত নেয়।

ফেইসবুকে যা বললেন প্রকাশক

শ্রাবণ প্রকাশনীর প্রকাশন রবিন আহসান তার ফেইসবুকে ঘটনাটি নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তিনি বলন, ‘হায় গণতন্ত্র একজন প্রবীন প্রকাশক-লেখককে গ্রেপ্তার করায় আমি টকশোতে এই ঘটনার নিন্দা জানাই এবং আমাদের বন্ধুরা শাহবাগে সমাবেশ করে সেই সমাবেশে বক্তব্য রাখায় শামসুজ্জামান খান শ্রাবণ প্রকাশনীকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে! আমি হয়ত না খেয়ে মরবো না তবে এই গণতান্ত্রিক দেশে আর বেশি দিন থাকছি না এসত্য। আমার মুখ বন্ধ করার ক্ষমতা যদি হয় শ্রাবণ বন্ধ তবে এও সত্য পাল্টা বইমেলা হবে। এই জামান আমার স্টল ২০০৯ সালে একবার বন্ধ করতে চেয়ে ছিল তখন আমার পক্ষে দাঁড়িয়ে ছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বান্ধবী খ্যাতিমান লেখক বেবি মওদুদ! সেবার বাংলা একাডেমির তথ্য কেন্দ্রে বদরুদ্দীন উমর এর লেখা ড. ইউনূসের দারিদ্র বাণিজ্য বইটির ঘোষণা নিষিদ্ধ করে ছিল! এই বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি সমাজে আমার লড়াই-সংগ্রাম চলবে... ‘

মন্তব্য করুন


 

Link copied