আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪ ● ১৪ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ২৮ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

আন্তর্জাতিক যোগাযোগের গেটওয়ে হবে কুড়িগ্রাম

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

কুড়িগ্রামে ভুটানিজ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল আলোর মুখ দেখতে বসেছে

 width=
 
শিরোনাম: রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা       ২৯ রমজান কি অফিস খোলা?       আজ ঐতিহাসিক রংপুর ক্যান্টনমেন্ট ঘেরাও দিবস       লালমনিরহাটে বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ হস্তান্তর       কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি      

 width=
 

ভিডিও এডিটিং এখন সম্ভাবনাময় ক্যারিয়ার

বৃহস্পতিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৬, দুপুর ০৩:৫১

এম এ রশিদ

সৃজনশীলতা বরাবরই আপনাকে আকাশ ছোয়াতে পারে। তাই আপনি শুরু থেকেই চমক প্রদ এক ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতেই পারেন। আপনি আপনার সৃজনশীল কাজ দিয়ে সিনেমা, নাটক, বিজজ্ঞাপনকে বহুগুণ আকর্ষণীয় করে তুলতে পারেন।

বর্তমানে হলিউডের প্রায় প্রতিটি চলচ্চিত্রই এ্যানিমেশনের হাত ধরে দর্শকের দৃষ্টিনন্দন হয়ে উঠে। তাই তো এ্যানিমেশন মাস্টারদের কারিশমাতে ভর করা হলিউডের সঙ্গে ঢালিউডের এতটা ফারাক! বাংলাদেশে এখনও এ্যানিমেশনের তেমন কোন ছোয়া পড়েনি, হাতে গোনা কিছু কাজ হয়েছে মাত্র। দেশে যে পরিমান সৃজনশীল জনবল রয়েছে তাদের আধুনিক একটি কর্মক্ষেত্র তৈরী করে দিতে পারলে অচিরেই এ দেশের নির্মাতারা সাধারন জনগনকে হলিউড এর মতো চলচ্চিত্র উপহার দিতে পারবেন বলে আশাবাদী। পড়াশুনা ও অন্যান্য পেশা থেকেও ভিডিও এডিটিং পেশায় নিযুক্ত হয়ে আপনি আয়ের উৎস বাড়াতে পারেন। রীতিমতো অনেকে আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এছাড়া নিজস্ব ব্যবসা বা ফ্রিল্যান্সার হিসেবেও কাজ করতে পারেন। আর সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ফার্ম এবং ওয়েবসাইট তো বসেই আছে আপনার প্রতীক্ষায় !

বাংলাদেশে এখন প্রায় ২৫-২৬ টি টিভি চ্যানেল রয়েছে। সবগুলো টিভি চ্যানেলেই প্রয়োজন দক্ষ ভিডিও এডিটরের। টিভি চ্যানেলগুলোতে সংবাদের পাশাপাশি অসংখ্য অনুষ্ঠান, নাটক, ম্যাগাজিন, বিজ্ঞাপন প্রচারিত হয়। সব অনুষ্ঠান টিভি চ্যানেল ছাড়াও প্রযোজনা সংস্থাও নির্মাণ করে থাকে। তাই ফুলটাইম- পার্টটাইম দু’ভাবেই ভিডিও এডিটর হিসেবে কাজ করা যায়।

দেশে টিভি চ্যানেল দিন দিন বাড়ছে। এই বাড়াটা স্বাভাবিক। ফলে বর্তমান সময়ে ভিডিও এডিটরদের প্রসারও প্রচার ঘটছে অত্যন্ত দ্রুত গতিতে। প্রতিটি চ্যানেলে মোটামুটি ২৫ থেকে ৫০ জন ভিডিও এডিটর রয়েছে। সেটি জানলে হয়ত চাকুরি পাওয়ার সম্ভাবনাটা অনুধাবন করা সহজ হবে। একটা চ্যানেলে ৫ ধরনের ক্যাটাগরিতে ভিডিও এডিটরস নেয়া হয়।

১. ভিডিও এডিটর ইনচার্জ, ২. সিনিয়র ভিডিও এডিটর, ৩. ভিডিও এডিটর, ৪. জুনিয়র ভিডিও এডিটর এবং ৫. নতুন যারা আসতে চায় ফ্রেশার বা শিক্ষানবীশ সেখানে শিক্ষানবীশ নিয়োগ দেওয়া হয়।

একজন ভিডিও এডিটর মাসিক পারিশ্রমিক হিসেবে ১৮-২০ হাজার এবং পরবর্তী সময়ে তা ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ টাকাও হতে পারে। যত বেশি চ্যানেল তত বেশি নাটকও সিনেমা আর বিজ্ঞাপন। মাল্টিমিডিয়া জগতে শিক্ষাগত যোগ্যতাকে কোন সঠিক মাপ কাঠিতে মাপা সম্ভব নয়। কারণ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে জ্ঞানের পরিধি যত বিস্তৃত ততো বেশি করে বিস্তার ঘটিয়ে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব। তাই আপনার মেধা কাজে লাগিয়ে ভালো কাজ প্রদর্শন করে কাজের শৈল্পিক নান্দনিকতা বাড়াতে এই পেশাটাকে আপন করতে পারেন। বেকারত্ব, হতাশা, দারিদ্রতা শুধুমাত্র কিছুদিনের প্রশিক্ষনে আপনার আগামী জীবন সুন্দর, ভবিষ্যৎ সাফল্য অজর্ন করা সম্ভব।

আপনি যদি আপনার চিন্তা শক্তি স্থির আর অটুট রাখেন তাহলে যে কোন প্রতিকুলতার বিরুদ্ধে গিয়ে আপনি সফল হতে পারবেন। আপনার চিন্তাশক্তি যদি ঠিক থাকে আর আপনার লক্ষ্য যদি স্থির থাকে আপনাকে আটকে রাখতে পারে এমন কোন কিছুই নেই। মনে প্রাণে বিশ্বাস করুন যে সবার মধ্যেই অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতা থাকে। আমরা শুধু সেই ক্ষমতা ঠিকঠাক চিনতে পারি না এই যা। তাই যদি কোন প্রতিকুল পরিস্থিতির সম্মুখীন হন তাহলে একবার চোখ বন্ধ করে মন থেকে ভাবুন। খুজে বের করুন এমন কোন ঘটনা বা জীবনের এমন কোন অভিজ্ঞতার কথা যা আপনাকে সব সময় অনুপ্রেরণা দেয়। দেখবেন কোন কিছু আপনা রসফল হওয়ার স্পৃহাকে আটকে রাখতে পারবে না।

আপনি একবার যদি মনের দিক থেকে নিজেকে ছোট করে ভাবেন বা নিজের দক্ষতা সম্পর্কে নিজের কাছেই সন্দিহান হয়ে পড়েন তবে সফলতা অর্জন করতে মুশকিল হয়ে পড়বে। তাই ভুলেও কখনো নিজেকে ছোট ভাবা চলবেনা। এটা সত্যি যে কিছু কিছু মানুষ যেকোন কাজে সফল হওয়ার অসাধারণ ক্ষমতা নিয়েই জন্মায়। তাই বলে বাকি যে মানুষ গুলো সেই অসাধারণ ক্ষমতা প্রাপ্তি করেননি তারা কি জীবনে পিছিয়েই থাকবে? অবশ্যইনা। হিসেব করলে দেখা যাবে পৃথিবীতে সাধারন মানুষের সংখ্যাই বেশি যারা নিজের কাজের যোগ্যতাই জীবনে সফলতা অর্জন করেছে। আপনিও সেই সব মানুষের খাতায় নাম লেখাতে পারেন যদি আপনার মনে সফল হওয়ার ইচ্ছা দৃঢ় থাকে।

সফলতার পথে যাত্রা করলে সেই পথে বাধা বিপত্তি আসবেই তবে সেই হারকে নেতিবাচক ভাবে না নিয়েই ইতিবাচক ভাবে নিন। আপনি যতবার হারবেন আপনার জেতার সম্ভাবনা তত বেশি বেড়ে যাবে। আপনার চাই স্থির চিন্তা শক্তি ও অটুট অত্মবিশ্বাস। প্রযুক্তি আপনার জন্য; আপনি প্রযুক্তির জন্য।

লেখক: ভিডিও এডিটর

মন্তব্য করুন


 

Link copied