আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

গনতন্ত্র রক্ষা দিবসে নীলফামারীতে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপ মুখোমুখি

বৃহস্পতিবার, ৫ জানুয়ারী ২০১৭, বিকাল ০৬:১৭

বিশেষ প্রতিনিধি ৫ জানুয়ারী॥ বর্তমান সরকারের তৃতীয়তম গনতন্ত্রের বিজয় রক্ষা দিবস পৃথক ভাবে পালন করেছে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগ ও নীলফামারী পৌর আওয়ামী লীগ। ফলে প্রকাশ্যেই এবার নীলফামারী আওয়ামী লীগ দ্বিখন্ডিত হয়ে পড়লো। ফলে দুই গ্রুপের মুখোমুখি অবস্থানে পৃথক দুইস্থানে পালিত হয়েছে পাঁচ জানুয়ারীর গনতন্ত্র রক্ষা দিবস। একটি গ্রুপের নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ আর অপরটির নেতৃত্ব দেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক।   দুই গ্রুপের এই কর্মসুচি ঘিরে জেলা শহরে টান টান  উত্তেজনার সৃস্টি হলে শহরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলো বন্ধ হয়ে যায়। ফলে বড়ধরনের সংঘাত এড়াতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু মারুফ হোসেনের নেতৃত্বে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে তা প্রতিহত করতে সক্ষম হয় জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। এ সময় সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন বিষয়টি প্রত্যক্ষ করেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান গনতন্ত্র রক্ষা দিবস কর্মসুচির অংশ হিসেবে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে পৌর আওয়ামী লীগের ব্যানারে শহরের চৌরঙ্গী মোড় এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হকের নেতৃত্বে একটি বিজয় শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের বড়বাজার অতিক্রম করে ডালপট্টি এলাকা পর্যন্ত প্রদক্ষিণ করে। এর প্রায় ১০ মিনিট পর জেলা আওয়ামী লীগের ব্যানারে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের নেতৃত্বে শহরের শহীদ মিনার চত্তর থেকে অপর শোভাযাত্রাটি বের হয়ে বড়বাজার এলাকার দিকে অগ্রসর হতে থাকতে দুই গ্রুপের শোভাযাত্রা মুখোমুখি হবার আগেই পুলিশের হস্তক্ষেপে তা প্রতিহত করা হয়। ফলে দেওয়ান কামাল আহমেদের নেতৃত্বে শোভাযাত্রাটি  ফিরে শহীদ মিনার চত্তরে সমাবেশ করে। এরপর পৌর আওয়ামী লীগের শোভাযাত্রাটি অল্পসময় পর চৌরঙ্গী মোড়ে এসে সমাবেশে মিলিত হয়।   শহীদ মিনার চত্তরের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহম্মেদ। বক্তৃতা করেন,জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রশীদ,  জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রাবেয়া আলীম, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইয়াহিয়া আবীদ, জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন, যুব মহিলা লীগের সভাপতি আরিফা সুলতানা, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমার ভৌমিক, সাধারণ সম্পাদক  নোহেল রানা প্রমুখ।   অপর দিকে চৌরঙ্গী মোড়ে পৌর আওয়ামী লীগের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু। এতে বক্তৃতা করেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি অক্ষয় কুমার রায়, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলিমুদ্দিন বসুনিয়া, সাধারণ সম্পাদক আবুজার রহমান, জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুজ্জামান বুলেট, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি কামরুল ইসলাম, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুদ রহমান, সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্তী, জেলা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি লেমন বসুনিয়া, মনিরুল ইসলাম, সম্মিলিত সাংস্কৃতিজোটের আহবায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল  প্রমুখ। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মমতাজুল হক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের পুর্বঘোষিত স্থান শহীদ মিনারে সমাবেশ করার কথা ছিল, সে হিসেবে আমরা সেখানে মঞ্চ করে ব্যানার টাঙ্গিয়ে ছিলাম। তাদের সমাবেশ করার কথা ছিল চৌরঙ্গী মোড়ে। কিন্তু তারা আমাদের  ব্যানার ছিড়ে ফেলে দিয়ে আমাদের সমাবেশ স্থল দখল করেন। এ কারনে আমরা সংঘাতে না জড়িয়ে চৌরঙ্গী মোড়ে সমাবেশ করেছি। তিনি অভিযোগ করে আরো বলেন  নীলফামারী জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনি দলীয়ভাবে চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচনে বিরোধীতা করায়  স্বতন্ত্র প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের কাছে তাকে ৩১ ভোটে ব্যবধানে পরাজিত হতে হয়েছে। অপর দিকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ বলেন দলের সকল নেতাকর্মী সহ অঙ্গসংগঠনকে ডেকে গনতন্ত্ররক্ষা দিবসটি পালনে প্রস্তুতি সভা করা হয়েছিল। কিন্তু অপর একটি পক্ষ জেলা আওয়ামী লীগের কর্মসুচির বাহিরে পৃথক আরেকটি কর্মসুচি পালন করে দলের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করেছে। তিনি বলেন জেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের প্রার্থীর পক্ষে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে প্রচারনা সহ ভোটারদের নিকট নিজে ভোট প্রার্থনা করেছি। এখন প্রার্থীর পরাজয়ের গ্লানী সব আমার উপর চাপিয়ে বিভ্রান্ত ছড়ানো হচ্ছে। তিনি সকল ভুল বোঝাবুঝির অবসান চেয়ে জেলা আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে সকল নেতাকর্মীকে এক কাঁতারে সামিলের আহবান জানান। নীলফামারী সদর থানার ওসি  বাবুল আকতার বলেন, জেলা আওয়ামী লীগ ও পৌর আওয়ামী লীগ পৃথক কর্মসুচি দেয়ায় শহরে কিছুটা উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছিল। তবে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন মাধ্যমে  কোন  শান্তিপূর্ণ পরিবেশে দুপুর একটার দিকে উভয় গ্রুপ তাদের সমাবেশ শেষ করে।  

মন্তব্য করুন


 

Link copied