গত বছর শহরের অদূরে মণ্ডলের হাট লেভেল ক্রসিংয়ে ট্রেনের সাথে বাসের ধাক্কায় মারা যান ২জন। দুমড়ে মুচড়ে যায় বাসটি। অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংগুলোতে কোন গেট ও গেঁট-ম্যান না থাকায় সিগন্যালিকের অভাবে এসব দুর্ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ চলতি বছরের জুন মাসে কাকিনা রেল গেটে কোন গেট-ম্যান না থাকায় ট্রেন ট্রাক সংঘর্ষে ২১ জন আহত হয়। রেলওয়ের এক জরিপে জানা গেছে, ৩০৫টি অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে গত এক বছরে ৩৭ ব্যক্তি প্রায় হারিয়েছে। আহত হয়েছে অন্তত ১৯৭ জন।
রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চল লালমনিরহাট বিভাগের অধীনে উত্তরের ৮ জেলায় ৫২৫ টি লেভেল ক্রসিংয়ের মধ্যে ৩০৫টিই অরক্ষিত। তার মধ্যে লালমনিরহাটে ২৫ টি, কুড়িগ্রামে ৩০, রংপুরে ৪৫, বগুড়ায় ৫৫, দিনাজপুরে ৫২, গাইবান্ধায় ৩৬ , ঠাকুরগাঁওয়ে ২৫ ও পঞ্চগড়ে ৩৭টি। ২২০ টি নিরাপদ ক্রসিংয়ের মধ্যে ৮৫ টি চলছে রেলওয়ের নিয়মিত স্টাফ দিয়ে আর বাকি ১৩৫টি চলছে দিনমজুরী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া অদক্ষ জনবল দিয়ে।
তবে রেল কর্তৃপক্ষ বলছেন, ৫২৫ টি ক্রসিংয়ের মধ্যে ১০২টিই অবৈধ। কারণ এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, জিলা পরিষদ, পৌরসভা অথবা ইউনিয়ন পরিষদ রেলওয়ের অনুমতি না নিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে এসব ক্রসিং তৈরী করেছে। এসব অবৈধ ক্রসিংয়ের সকল দায়দায়িত্ব তাদের উপরই বর্তায়। এজন্য রেলওয়ে দায়ী নয়।
লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার আব্দুল হাই জানালেন অরক্ষিত লেভেল ক্রসিংয়ে সিগন্যালিক ব্যবস্থা চালুর জন্য গেট নির্মাণ ও গেট-ম্যান নিয়োগের ব্যাপারে ডিপিপি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।