আর্কাইভ  বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪ ● ৫ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   বৃহস্পতিবার ● ১৮ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল       সার্ভার ডাউন: রসিকে জন্ম নিবন্ধন নিয়ে ভোগান্তি চরমে       রংপুরে ফটোসাংবাদিক ফিরোজ চৌধুরীর একক আলোকচিত্র প্রদর্শনী       ডোমার ও ডিমলা উপজেলা নির্বাচনে ৩৫ জনের প্রার্থীতা বৈধ ॥ চেয়ারম্যান পদে ১২ জনের মধ্যে আওয়ামীলীগের ৭ জন প্রার্থী       নীলফামারীতে ঐতিহাসিক মুজিব নগর দিবস পালন      

 width=
 

রাজীবপুর ডিগ্রি কলেজে; অতিরিক্ত ফি, প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল

মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৭, বিকাল ০৫:০৫

শিক্ষার্থীদের অভিযোগে জানা গেছে, বিএ, বিএসএস, বিএসসি ও বি কম কোর্সে ফরম পূরণে আড়াই গুন বেশি হারে টাকা আদায় করা হচ্ছে। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েব সাইটে উল্লেখ করা আছে, ডিগ্রি ফরম পূরণে দুই হাজার টাকার বেশি কোনো প্রতিষ্ঠানই নিতে পারবে না। সেখানে ওই কলেজে জনপ্রতি ৫ হাজার করে আদায় করা হচ্ছে। এর এক টাকাও কম নিচ্ছে না। মাসুদ রানা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘আমরা যারা শিক্ষার্থী রয়েছি তাদের মধ্যে বেশির ভাগই দরিদ্র ঘরের সন্তান। এক সঙ্গে ৫ হাজার টাকা করে ফরম পূরণে কঠিন হয়ে পড়েছে। অধ্যক্ষ স্যারকে অনেক অনুরোধ করলাম যে কিছু টাকা কমানোর জন্য কিন্তু তিনি এক টাকাও কম নিবেন না। এ অবস্থায় আমরা ফরম পূরণ নিয়ে হুমকির মুখে পড়েছি।’ একই অভিযোগ করেন বেশির ভাগ ছাত্রছাত্রীরা। আশরাফুল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ফরম পূরনে তো টাকা বেশি নেয়ই, তার ওপর স্যারদের কাছে প্রাইভেট পড়া নাগে। প্রাইভেট না পড়লে ব্যবহারিক পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেয় স্যাররা।’

কলেজ সূত্রে জানা গেছে, বিএ, বিএসএস, বি.কম ও বিএসসি মিলে ১০০ শিক্ষার্থী ফরম পূরণ করার কথা। এখনও কেউ ফরম করেনি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলেজের একজন প্রভাষক বলেন, এভাবে এইচএসসি ফরম পূরণেও অতিরিক্ত টাকা আদায় করা হয়েছে। অধ্যক্ষ তার ইচ্ছে মতো নানা ধরণের ফি আদায় করে কিন্তু আদায় করা টাকার হিসেবে গড়মিল দিয়ে রাখা হয়। গভর্নিং বডির এক সদস্যও ওই একই অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, ‘কলেজের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা টাকা লুট করে সেই টাকায় অধ্যক্ষ রাজনীতি করেন।’

অভিযোগ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে অধ্যক্ষ ইউনুস আলী বলেন, ‘ফরম পূরণের ফি’র সঙ্গে শিক্ষার্থীদের মাসিক বকেয়া বেতন রয়েছে। এ কারনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে কারো কারো সাড়ে ৫ হাজার টাকা দাড়িয়েছে। আমরা গভর্নিং বডির সদস্যরা বসে ফরম পূরণে নিদির্ষ্ট একটা ফি নির্ধারণ করেছি সেটা হলো জনপ্রতি সাড়ে ৩ হাজার টাকা। কিছু সুবিধাবাদি ছাত্র নেতারা সাধারণ শিক্ষার্থীদের উসকে দিয়ে ওই বিক্ষোভ মিছিল করিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোনো অভিযোগ নেই।’ কলেজের টাকায় রাজনীতি করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এটা মিথ্যা ভিত্তিহীন অভিযোগ। প্রতিষ্ঠান একটা নিয়মের মধ্যে পরিচালিত হয়। আদায় করা টাকারও হিসাব রয়েছে। এখান থেকে এক টাকাও এদিক ওদিক করার সুযোগ নেই।’

কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি স্থানীয় সংসদ সদস্য রুহুল আমিন বলেন, ‘ফরম পূরণে ফি নির্ধারণের জন্য কোনো সভা হয়নি। অধ্যক্ষ একক ভাবে ওই ফি নির্ধারণ করেছে। তা পরিশোধ করা শিক্ষার্থীদের পক্ষে কঠিন। আমি অধ্যক্ষকে বলেছি ফি কমানোর জন্য।’

মন্তব্য করুন


 

Link copied