নাটোর: নাটোরে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে ৭ম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে মনিরুজ্জামান নামে এক যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
মামলার অপর আসামি দণ্ডপ্রাপ্ত মনিরের বোন নিশাত সুলতানাকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
নাটোরের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক রেজাউল করিম রোববার দুপুরে এই রায় দিয়েছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালে লালপুর উপজেলার সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই ছাত্রী প্রতিবেশী মৃত কুদ্দুস ডাক্তারের মেয়ে নিশাত সুলতানার কাছে প্রাইভেট পড়ত। সেই সুবাদে নিশাতের ভাই মনিরুজ্জামান মনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। একপর্যায়ে মনি তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক করে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে দৈহিক সর্ম্পক গড়ে তোলে। এতে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি জানতে পারে ওই ছাত্রীর পরিবার মনিরুজ্জামানকে বিয়ের জন্য বললে সে অস্বীকার করে। এদিকে সে সন্তানের জন্ম দেয়।
একই বছরের ১২ নভেম্বর আয়েশার মা রওশন আরা বেগম বাদী হয়ে মনিরুজ্জামান ও তার বোন নিশাত সুলতানার বিরুদ্ধে লালপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
পরে মামলাটি বিচারের জন্য আদালতে উপস্থাপন হলে স্বাক্ষ্য প্রমাণ শেষে বিচারক রেজাউল করিম রোববার এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে- ধর্ষণের ফলে জন্ম নেয়া সন্তান সাবালক না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্র তার ভরণ-পোষণ করবে বলে উল্লেখ করা হয়।
নাটোর কোর্টের পিপি সিরাজুল ইসলাম রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।