আশা সিংহানিয়া (৩০) নামের এক গৃহবধূকে হত্যা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে নীলফামারীর সৈয়দপুর শহরের শহীদ তুলশীরাম সড়কের (দিনাজপুর রোড) বাসার শয়নকক্ষ থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। এ সময় হত্যার সঙ্গে জড়িত তাঁর স্বামী রাকেশ সিংহানিয়া বাবলীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় নিহত গৃহবধুর ভাই একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে থানায়।
নিহতের পারিবারিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বগুড়ার দুপঁচাচিয়া উপজেলার তালোড়া পৌর এলাকার স্বগীয় গোপাল প্রসাদ আগওয়ালার মেয়ে আশা সিংহানিয়া। সৈয়দপুর শহরে শহীদ তুলশীরাম সড়কের (দিনাজপুর রোড) বাসিন্দা মাড়োয়ারী সজন সিংহানিয়ার ছেলে রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী’র সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয় গত ২০০৪ সালে। ঘটনার দিন গতকাল সোমবার রাতে নিজ বাসায় তাঁর মৃত্যু ঘটে। মঙ্গলবার দুপুরে বিভিন্ন সূত্রে খবর পেয়ে সৈয়দপুর থানার ওসি (তদন্ত) তাজউদ্দিন আহমেদ ও পুলিশ সদস্যরা ওই বাসায় গিয়ে শোয়ার ঘরে বিছানার ওপর গৃহবধূর আশা সিংহানিয়ার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন সৈয়দপুর থানার উপ-পরির্দশক (এসআই) মো. ইয়াছিন আলী। তিনি জানান, উদ্ধারকৃত মরদেহের নাভির ওপর জখমের চিহৃ রয়েছে। মুখ দিয়ে রক্ত ঝরছিল। গলায়ও হালকা আঘাতে চিহৃ ছিল।
পুলিশ জানায় এ ঘটনায় গৃহবধূর স্বামীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের সে স্ত্রীকে গলা টিপে ও পেটে আঘাত করে হত্যার করার কথা স্বীকার করেছেন। তবে কি কারণে সে তাঁর স্ত্রীকে হত্যা করেছে তা জানা যায়নি।
নিহত গৃহবধূর স্বামী রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী পেশায় একজন সার ব্যবসায়ী। বাসা সংলগ্ন তাঁর ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। আশা সিংহানিয়া ও রাকেশ সিংহানিয়া বাবলী দম্পতির এক কন্যা রয়েছে। তাঁর নাম ভূমি সিংহানিয়া। সে সৈয়দপুর লায়ন্স স্কুল এন্ড কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণীতে পড়ে।
এদিকে, খবর পেয়ে গৃহবধূর বড় ভাইসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা বগুড়ার তালোড়া থেকে সৈয়দপুর ছুঁটে আসেন। এ সময় গৃহবধূ আশা সিংহানিয়ার লাশ দেখে স্বজনরা কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।
সৈয়দপুর থানার ওসি আমিরুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ভাই দিলীপ প্রসাদ আগরওয়ালা বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী সদর আধুনিক হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
