নীলফামারীর কিশোরীগঞ্জ উপজেলায় ভুট্টা চাষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। উচ্চ ফলনশীল জাত অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ এবং আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এ বছর বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। ধান ও অন্যান্য ফসল চাষে লাভ কম হওয়ায় ও কম খরচে বেশি লাভের আশায় বিকল্প ফসল হিসাবে ভুট্টা চাষে ঝুঁকছেন এ উপজেলার কৃষকরা।
কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে, গত বছর এ উপজেলায় ২৭শত ৮০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ হয়েছিল। দাম ও ফলন ভাল থাকায় এবারে ৩ হাজার ১শত ২০ হেক্টর জমিতে ভুট্টার আবাদ করেছেন কৃষকেরা। ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় প্রায় ১৪ থেকে ১৫ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক, কাবেলী-৫০, কাবেলী-১০০, পাইরেনিয়ার-৯৩০৫, প্যাসিভিক-৯৮৪, প্যাসিভিক-১১, এম.কে-৪০, হাইব্রিড বালাজী-৯২০৫ হাইব্রিড জাতের ভুট্টা চাষ করেছেন কৃষকেরা।
বাহাগিলি ইউনিয়নের উত্তর দুরাকুটি গ্রামের কৃষক আলম হোসেন জানান, ভুট্টা চাষে খরচ কম হওয়ায় এবং দাম ও ফলন বেশি হওয়ায় আমি ৬ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। তাছাড়া ভুট্টা চাষে জমিতে পানিসেচ কম দিতে হয়। সেচ সুবিধার কারনে তিনি অধীক আগ্রহী।
কিশোরীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের বাজেডুমরিয়া গ্রামের কৃষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, মাছ ও মুরগীর খাবার হিসেবে ভুট্টা ব্যাপক ব্যবহার হচ্ছে। তাছাড়া ভুট্টা বাজারে বিক্রি করার পরও এর শুকনো গাছ ও মোচা বাড়িতে জ্বালানী হিসাবে ব্যবহার করা হয় এ কারনে ভুট্টার চাহিদা বেশি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, মাঠ পর্যায়ে চাষিদের ভুট্টা চাষের আগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে চলতি রবিশস্য মৌসুমে উপজেলার প্রায় ৩শত কৃষককে প্রশিক্ষন ও ৬০ জন কৃষককে আগাম জাতের ভুট্টা বীজ দেওয়া হয়েছে। তবে বড় ধরনের কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর এ উপজেলায় ৩০ হাজার মেট্রিকটন ভুট্টা উৎপাদন সম্ভব হবে।