আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

সাবেক সংসদ সদস্য আহসান আহমেদ আর নেই

শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৭, বিকাল ০৭:৪৪

ইনজামাম-উল-হক নির্ণয়, নীলফামারী ২৪ফেব্রুয়ারী॥ রাজনৈতিক অঙ্গনের অন্যতম ব্যাক্তিত্ব নীলফামারী সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এ জেলার একজন অভিভাবক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আহসান আহমেদ (হাচান চেয়ারম্যান) আর নেই। রাজধানীর একটি বেসরকারী হাসপাতালে (ইডেন সিটি মাল্টিকেয়ার) গলব্লাডারে পাথর অপসারনের চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ শুক্রবার দুপুরে তিনি ইন্তেকাল করেন(ইন্নালিল্লাহি---রাজিউন) তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর। মৃত্যুকালে তিনি ছয় ছেলে,নাতী নাতনী, আতœীয় স্বজন ,অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। তার মৃত্যুর খবরে গোটা নীলফামারী জেলায় শোকের ছায়া নেমে আসে। দলে দলে মানুষজন তার নীলফামারী শহরের বাবুপাড়া বাসভবনে ভিড় করতে থাকে। পারিবারিক সুত্র মতে আগামীকাল শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারী) বাদ যোহর নীলফামারী কেন্দ্রীয় ঈদগাঁ মাঠে এবং জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের চয়ন নগর গ্রামে শেষ দফায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। আহসান আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন সংস্কৃতিমন্ত্রী নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নুর, নীলফামারী ১ আসনের সংসদ সদস্য আফতাব উদ্দিন সরকার, নীলফামারী ৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক গোলাম মোস্তফা এমপি, বিরোধীদলীয় হুইপ ও নীলফামারী ৪ আসনের সংসদ সদস্য জেলা জাপার আহবায়ক শওকত চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ জোনাব আলী, সাবেক সংসদ সদস্য এ্যাডঃ এনকে আলম চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য জাফর ইকবাল সিদ্দিকী, নীলফামারী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জয়নাল আবেদীন, পৌর মেয়র আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, জেলা অাওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মমতাজুল হক,সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সৈয়দপুর পৌরসভার মেয়র আমজাদ হোসেন সরকার, ডোমার পৌরসভার মেয়র মনছুরুল ইসলাম, জলঢাকা পৌরসভার মেয়র ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী, জেলা বিএনপির সভাপতি এ্যাডঃ আনিসুল আরেফিন চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক সামছুজ্জামান জামান, জেলা বারের সভাপতি এ্যাডঃ আলিমুদ্দিন বসুনিয়া, নীলসাগর গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রকৌঃ আহসান হাবিব লেলিন, চেম্বার অব কর্মান্সের সভাপতি মারুফ হাসান, সিপিবির সভাপতি শ্রীদাম দাস, ওয়ার্কাস পাটির সভাপতি কমরেড তপন কুমার রায়, সনাকের সভাপতি প্রকৌঃ সফিকুল আলম,ফার্টিলাইজার এ্যাসোসিয়নের সভাপতি আব্দুর ওয়াহেদ সরকার, জেলার সম্মিলিত সাংস্কৃতিকজোটের আহবায়ক আহসান রহিম মঞ্জিল, জেলা মহিলা সমিতির সভাপতি তাহমিনা হক, জেলা রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের সাধারন সম্পাদক হাসিনা আহমেদ, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক আরিফ হোসেন মুন, জেলা জাতীয় মহিলা সংস্থার সভাপতি রাবেয়া আলিম, বাংলাদেশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী টিএফপির সমিতির রংপুর বিভাগীয় সাধারন সম্পাদক সাদেক আনোয়ার সাংবাদিকদের মধ্যে তাহমিন হক ববী, মোশাররফ হোসেন, সামছুল ইসলাম, মীর মাহমুদুল হাসান আস্তাক, ভুবন রায় নিখিল, শীষ রহমান, দীপক আহমেদ, আতিয়ার রহমান বাড্ডা, মামুন রহমান, মঞ্জরুল আলম সিয়াম, আজিজুল হক বুলু, ইসরাত জাহান পল্লবী, বিজয় চক্রবর্তী কাজল, নুরুল ইসলাম, মোজাফ্ফর আলী, রতন সরকার, জুয়েল আহমেদ, নুরে আলম, আল-আমিন সহ প্রমুখ। এ ছাড়া জনপ্রিয় নিউজ পোর্টাল উত্তরবাংলাডটকম গভীরভাবে শোক প্রকাশ করে আহসান আহমেদের বিদেয়ী আতœার মাগফেরাত করেছে। উল্লেখ যে আহসান আহমেদ তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে ঘটনাবহুল ও বৈচিত্রময়। অদুর দর্শিতা বিচক্ষণশীরতা সাংগঠনিক তৎপরতার কারণে তিনি নীলফামারীর একজন গুরুত্বপূর্ন অভিভাবক হিসাবে স্থান পেয়েছিলেন। আহসান আহমেদ ১৯৫২ ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে রাজনৈতিক মাঠে প্রবেশ করেছিলেন। তনি ১৯৩৬ সালের ৯ এপ্রিল নীলফামারীর রামনগর ইউনিয়নের চয়ন নগর গ্রামে জন্মগ্রহন করেছিলেন। তার পিতা চয়ন উদ্দিন আহমেদ রামনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ছিলেন। মাতা আমেনা বেগম ছিলেন গৃহিনী। তিনি ১৯৫৮ সালে আওয়ামী যুবলীগে যোগ দেন এবং একই বছর আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টি গণদলে আতœপ্রকাশ করেন। ১৯৬২ সালে তৎকালিন নীলফামারী মহকুমা শাখার কৃষক সমিতির সাধারন সম্পাদক মনোনীত হন। ১৯৭০ সালে ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি ভাষানী ন্যাপের নীলফামারী মহকুমা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন এবং ১৯৭৮ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে জিয়াউর রহমানের আহবানে জাগ দলে যোগদান করেন। এরপর ১৯৭৯ সালে নীলফামারী জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও পরে সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালে তিনি জাতীয়পাটিতে যোগদান করে সংসদ নির্বাচনে নীলফামারী সদর আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে সময় তিসি জাতীয় পাটির প্রেসিডিয়াম সদস্য ছিলেন। এরআগে ১৯৭২ সালে নীলফামারী পৌরসভা প্রতিষ্ঠিত হলে ১৯৭৩ সালে জনগনের ভোটে প্রথম পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৭৬ ও ১৯৭৯ সালের পৌর নির্বাচনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই পদে টানা ১৭ বছর পৌর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। এরপর ১৯৯০ সালে তিনি নীলফামারী সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আহসান আহমেদ তা জীবদ্দশায় একজন অভিভাবক হিসাবে নীলফামারীর উন্নয়নে নিরলশভাবে কাজ করে গেছেন। তার মাধ্যমে শহরে প্রতিষ্ঠিত হয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সামাজিক কর্মকান্ডে তিনি ১৯৬৯-৭৩ সাল পর্যন্ত নীলফামারী টাউন কাবের সাধারন সম্পাদক, ১৯৭০-৭২ সাল পর্যন্ত নীলফামারী মহকুমা ক্রীড়া সংস্থার সাধারন সম্পাদক ছিলেন। আহসান আহমেদ পারিবারিক জীবনে ছয় সন্তানের জনক। ১৯৫৬ সালে সেলিনা বেগমের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ১৯৮৯ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেলিনা বেগম ইন্তেকাল করেন। তাদের পুত্রদ্বয় সেলিম জাহাঙ্গীর আলম,শামীম জাহাঙ্গীর আলম,শাহীন জাহাঙ্গীর আলম,সেফাউল জাহাঙ্গীর আলম,সহীদ জাহাঙ্গীর আলম ও সোহেল জাহাঙ্গীর আলম।

মন্তব্য করুন


 

Link copied