শুক্রবার বেলা ১১টায় বগুড়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ আবেদন জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এক লিখিত বক্তব্যে রাজশাহী বিভাগীয় এলপি গ্যাস পরিবেশক সমিতির আহ্বায়ক আসলাম খান বলেন, ‘পদ্ম, মেঘনা, যমুনা অয়েল কোম্পানি দীর্ঘদিন ধরে যাবতীয় ক্রুটিপূর্ণ সিলিন্ডার দিয়ে গ্যাস বাজারজাত করে আসার ফলে গত বছরের ২০ আগস্টে বগুড়া এলপিজি ডিপোতে ট্রাক থেকে গ্যাস ভর্তি সিলিন্ডার আনলোডের সময় আকস্কিভাবে আগুনের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর দুর্গটনাস্থল পরিদর্শন করে ফায়ার সাভিস এর প্রতিনিধি দল বিভিন্ন পত্রিকার সাংবাদিক, টিভি চ্যানেলের প্রতিনিধিসহ বিস্ফোরক অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় সহকারী বিস্ফোরক পরিদর্শক, তাৎক্ষণিকভাবে ক্রুটিপূর্ণ সিলিন্ডারের কারণেই মুলত অগ্নিকাণ্ডের কারণ উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরে একটি লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছে তদন্তকারী দল। কিন্তু মেঘনা পেট্রোলিয়াম লিমিটেড কোম্পানির সহকারি মহাব্যবস্থাপক ওমর ফারুক নিয়াজী ঘটনার মুল কারণ ধামাচাপা দিয়ে ঐ অগ্নিপাতের সূত্রকে ইস্যু করে যোগসাজোসে বগুড়া এলপিজি ডিপোটি স্থায়ীভাবে বন্ধ করার ব্যবস্থা করেন। ফলে উত্তরাঞ্চলের এলপি গ্যাস ডিলারদের কাঙ্খিত প্রাণের ডিপোটি এখন অচল অবস্থা বিরাজ করছে। কারণ বগুড়া এলপিজি ডিপোতে ঘটনার পর থেকে ডিলারদের মাঝে গ্যাস সরবরাহ সম্পূর্ণরুপে বন্ধ করে দিয়েছেন পদ্ম, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি আরো বলেন, ‘৩৬ বছর আগে আমদানি করা এসব গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে চলছে এলপি গ্যাস সরবরাহ। এসব সিলিন্ডার এরশাদ সরকারের আমলে আমদানি করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহার হয়ে আসা এসব সিলিন্ডার ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেকারণেই আনলোড় করার সময় বিস্ফোরণ ঘটছে। আমরা সমিতির পক্ষ থেকে ঐসব ক্রুটিপূর্ণ সিলিন্ডারে গ্যাস ফিলিং না করার জন্য পদ্ম, মেঘনা ও যমুনা অয়েল কোম্পানিসহ বিপিসির সংশ্লিষ্ট সকলকে বারবার লিখিতভাবে জানিয়েছি। তারপরও কোনো তোয়াক্কা না করে ঐ সকল ক্রুটিপূর্ণ সিলিন্ডারে এলপি গ্যাস ফিলিং করতে থাকে বিপিসিএর নিয়ন্ত্রণাধীণ সংশ্লিষ্ট কোম্পানিসমূহ।’
তিনি আরো বলেন, ‘আমরা বগুড়া এলপিজি ডিপোটি বন্ধের কারণ জানতে চেয়ে ওমর ফারুক নিয়াজীর সাথে একাধিত বার সাক্ষাত করলেও তিনি নানান তালবাহানা করেছেন। বগুড়া এলপিজি ডিপোটি চালূ না করে উত্তরাঞ্চলের ১৪টি জেলার ডিলারদের মাঝে বাঘাবাড়ি ডিপো থেকে এলপি গ্যাস নেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশলে চাপ প্রয়োগ করে যাচ্ছেন। বাঘাবাড়ি থেকে গ্যাস সরবরাহ নিয়ে পরিবহন খরচ বেশি হওয়ায় সরকার নির্ধারিত মূল্যে এলপি গ্যাস বিক্রয় করা সম্ভব হবে না। ফলে উত্তরাঞ্চলের অধিকাংশ ডিলারগণ তাদের বরাদ্দকৃত গ্যাস উত্তোলন থেকে বিরত থাকছেন। আর তাই এলপি গ্যাসের তীব্র সংকট পরিলক্ষিত হচ্ছে। তাই বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ কামনা করছি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- সাবেক সাধারণ সম্পাদক আবু তালেব কবিরাজ, রাজশাহী বিভাগীয় এলপি গ্যাস পরিবেশক সমিতি জয়পুরহাট শাখার সাবেক সিনিয়রসহ সভাপতিহান্নান চৌধুরী, মঞ্জুরুল হক মঞ্জু, শ্রী সমর, আব্দুল হালিম সেখসহ আরো অনেকে।