উপজেলার সদর থেকে ৩০ কিলোমিটার উত্তরে পলাশবাড়ী ইউনিয়নের মদাতী গ্রামের মংলু মিয়ার ছেলে আল আমিনের বাড়ীতে বিয়ের দাবীতে গত শনিবার সকাল থেকে দুই দিন ধরে অনশন শুরু করেন প্রেমিকা রুমী আক্তার (২২)।
পঞ্চগড় জেলার দেবীগঞ্জ উপজেলার ডন্ডপাল ইউনিয়নের হাজরাডাঙ্গা গ্রামের গফ্ফার শাহের মেয়ে রিমু আক্তার জানান, ঢাকায় একটি গামেন্টেস ফ্যাকটরিতে চাকুরী করার সময় উভয়ের মধ্যে ভাললাগা ও ভালবাসা হয়। ভালবাসার এক পর্যায়ে প্রেম ও গভীর প্রেমে পরিনত হয়। দ’ুজনার মাঝে শারীরিক সম্পর্ক হয়।
গত ২১ ফেব্রুয়ারী কাজী রেজিষ্ট্রি করে বিয়ে করার কথা বলে উত্তরায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে শহরে ঘোড়াফেরা করার সময় পুলিশের দৃষ্টিতে সন্দেহ হয়। পুলিশ আমাদের দু’জনকে থানায় নিয়ে যায়।
পুলিশ আমার কাছে ঘটনার বর্ননা শুনে প্রেমিক আল আমিনকে থানা হাজতে আটক করে রাখে। বিবাহ করার অঙ্গিকারে উত্তরা থানা থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। মুক্তি পেয়ে আল আমিন ঢাকা থেকে দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার মদাতী গ্রামে পালিয়ে যায়।
আমার সাথে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের পর পালিয়ে আসার কারনে বিয়ের দাবীতে ঢাকা থেকে চলে এসেছি। আমাকে বিবাহ না করা পর্যন্ত এ বাড়ীতে বা কোথাও যাবো না প্রয়োজনে নিজের জীবন বির্ষজন দিব।
পলাশবাড়ী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ জুয়েলুর রহমান সংবাদের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গত শনিবার রাত ২ টা পর্যন্ত চেষ্টা করেও প্রেমিক আল আমিনকে হাজির করে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব হয়নি।