আর্কাইভ  শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪ ● ৬ বৈশাখ ১৪৩১
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ১৯ এপ্রিল ২০২৪
 width=
 
 width=
 
শিরোনাম: পলাশবাড়ীতে আসামির ছুরিকাঘাতে বাদীর মৃত্যু, গ্রেফতার ১       মন্ত্রী-সংসদ সদস্যদের সন্তান-স্বজনের ভোটে না দাঁড়ানোর নির্দেশ       ভোজ্যতেলের দাম বাড়ল, খোলা তেলে সুখবর       বিএনপি নেতা সোহেলের নিঃশর্ত মুক্তি দাবিতে রংপুরে  মানববন্ধন ও সমাবেশ        খরার ঝুঁকিতে রংপুর অঞ্চল      

 width=
 

রোগীর স্বজন পেটানো ইন্টার্নদের সাজা প্রত্যাহার

সোমবার, ৬ মার্চ ২০১৭, দুপুর ০৩:১৫

সোমবার ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের অনুরোধে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা পরীক্ষিত চৌধুরী এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পরীক্ষিত চৌধুরী জানান, সকালে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতাকর্মীরা মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান তার সরকারি বাসায়। এ সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রলীগ সমর্থিত শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা তার সঙ্গে ছিলেন। আরও ছিলেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত চিকিৎসক সংগঠন স্বাচিপের নেতা ইকবাল আর্সনাল। তারা বগুড়ার ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই ধরনের ঘটনা আর ঘটবে না। এরপর মন্ত্রী এই ঘোষণা দেন।

গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বগুড়ার এই সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ রোগী আলাউদ্দিনের ছেলে আবদুর রউফকে বেদম মারধর ছাড়াও অবমাননাকর সাজা দেন কয়েকজন ইন্টার্ন চিকিৎসক। বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই ঘটনার ভিডিও চিত্র প্রকাশের পর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমটি গঠন করে। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গত ২৩ ফেব্রুয়ারি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে আরেকটি কমিটি গঠন করে।

গত বুধবার এই কমিটি প্রতিবেদন দেয়ার পরদিন চার শিক্ষানবীশ চিকিৎসকের ইন্টার্নশিপ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করা হয়। সেই সঙ্গে বগুড়ার এই হাসপাতালের বদলে তাদেরকে অন্যত্র ইন্টার্নশিপ শেষ করতে হবে। ভবিষ্যতে এই ধরনের কাজ করলে তাদের পেশাগত সনদ বাতিল করা হবে বলে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

শাস্তি পাওয়া চার শিক্ষানবিশ চিকিৎসকের মধ্যে নূরজাহান বিনতে ইসলাম নাজকে দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, আশিকুজ্জামান আসিফকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে, কুতুবউদ্দিনকে যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এবং এম এ আল মামুনকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্টার্নশিপ শেষ করতে হবে।

গত বৃহস্পতিবার এই ঘোষণা আসার পর থেকেই বগুড়ায় ধর্মঘট শুরু করেন শিক্ষানবিশ চিকিৎসকরা। তবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী তাদের এই কর্মসূচির সমালোচনা করেন।

শিক্ষানবিশরা দাবি করছিলেন, একজন নারী শিক্ষানবিশ চিকিৎসককে উত্ত্যক্ত করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বগুড়া হাসপাতালে রোগীর স্বজনকে পিটুনি দেয়া হয়েছিল। তবে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তদন্ত কমিটি এই অভিযোগের কোনো প্রমাণ পায়নি। তারপরও চিকিৎসকদের বিভিন্ন সংগঠন শিক্ষানবিশদের দাবির পক্ষে দাঁড়াতে থাকে।

শিক্ষানবিশদের এই কর্মবিরতি নিয়ে রবিবার বিকালে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে বৈঠক করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। শিক্ষানবিশদের কর্মবিরতিতে হাসপাতালে সেবায় যেন কোনো ঘাটতি না হয়, সে ব্যবস্থা করতে কড়া নির্দেশ দেন মন্ত্রী। কিন্তু ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতেই উল্টো ঘোষণা দিলেন তিনি।

মন্তব্য করুন


 

Link copied