মঙ্গলবার গাইবান্ধা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ ধরণের হঠকারি সিদ্ধান্তের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে তিনি ক্ষতিপূরণসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর কাছে এই অন্যায়ের প্রতিকার দাবি করেছেন।
লিখিত বক্তব্যে বীথিকা রায় উল্লেখ করেন, ২০০৯ সালে বগুড়া কালেক্টরেট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে শিক্ষকতা পেশায় যুক্ত হন। এক পর্যায়ে উচ্চতর গবেষণার সুযোগ পেয়ে ২০১১-২০১২ সেশনে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. ওয়াজেদ রিসার্চ ইনস্টিটিউটে ড. গাজী মাজহারুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ‘কালেক্টিভ প্রসেসেস ইন ডাস্টি কোয়ান্টাম প্লাসমাস’ বিষয়ে এম.ফিল গবেষণা শুরু করেন। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য একেএম নুরুন্নবী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের অজুহাত দেখিয়ে ২০১৪ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তার গবেষণা কার্যক্রম স্থগিত করেন।
একদিকে গবেষণা কার্যক্রমের দীর্ঘসূত্রিতা অপরদিকে কর্মরত প্রতিষ্ঠানের শর্তাধীন ছুটি সংক্রান্ত জটিলতায় তাকে চাকরি হারাতে হয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্র্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনা এবং গাফিলাতির কারণে বর্তমানে তার জীবন দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এবং পরিবার-পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। তিনি দাবি করেন হয় তাকে এমফিল ডিগ্রীসহ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরিতে পুনর্বাসন অথবা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতি পূরণ দেয়ার দাবি জানান।