সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধার আদালতে বুধবার এ রায় ঘোষণা করা হয়। এর আগে বদরুলের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার পক্ষের আইনজীবীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সিলেটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আদালতে সাক্ষ্য প্রদান করেন খাদিজা। এর মাধ্যমে মামলার ৩৬ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয় এবং আদালতে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেট এমসি কলেজ কেন্দ্রে পরীক্ষা দিয়ে বের হওয়ার পর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক বদরুল আলম কুপিয়ে আহত করে খাদিজাকে। ঘটনাস্থল থেকে জনতা ও এমসি কলেজ শিক্ষার্থীরা বদরুল আলমকে আটক করে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন।
বদরুলের চাপাতির আঘাতে খাদিজার মাথার খুলি ভেদ করে মস্তিষ্কও জখম হয়। খাদিজাকে কোপানোর একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ পেলে দেশজুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। হামলার পর প্রথমে খাদিজাকে সিলেট এমএজি ওসমানী হাসপাতালে ও পরে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ৪ অক্টোবর বিকেলে অস্ত্রোপচার করে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয় তাকে। পরে ১৩ অক্টোবর তার লাইফ সাপোর্ট খোলার পর ‘মাসল চেইন’ কেটে যাওয়া তার ডান হাতে অস্ত্রোপচার করা হয়। ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে তিন দফা অস্ত্রোপচারের পর শরীরের বাঁ পাশ স্বাভাবিক সাড়া না দেওয়ায় চিকিৎসার জন্য স্কয়ার থেকে সাভারের সিআরপিতে পাঠানো হয়। সিআরপিতে তিন মাসের চিকিৎসা শেষে ২৪ ফেব্রুয়ারি বাড়ি ফেরেন কলেজছাত্রী খাদিজা।