আর্কাইভ  শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪ ● ১৫ চৈত্র ১৪৩০
আর্কাইভ   শুক্রবার ● ২৯ মার্চ ২০২৪
 width=
 

 

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

কুড়িগ্রামে সমৃদ্ধির হাতছানি

 width=
 
শিরোনাম: স্বাস্থ্যের রংপুর বিভাগীয় পরিচালক ফজলুল হক কারাগারে       কুড়িগ্রামের খাবারে বেজায় খুশি ভুটানের রাজা       লালমনিরহাটে পুকুরে জাল ফেলতেই জালে উঠে এলো যুবকের মরদেহ       কুড়িগ্রামে বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলের নির্ধারিত স্থান পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা       রানিকে নিয়ে কুড়িগ্রামে পৌঁছেছেন ভুটানের রাজা      

 width=
 

আগুন খাওয়া সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এবার ডোমারে গরু লুটের অভিযোগ

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ ২০১৭, বিকাল ০৫:০৫

         বিশেষ প্রতিনিধি.১৪ মার্চনীলফামারীর ডিমলা উপজেলার ত্রাস আগুন খাওয়া সন্ত্রাসী দলের কার্যক্রম এবার পাশ্ববর্তী ডোমার উপজেলার গোমনাতী এলাকায় সম্প্রসারিত হয়েছে! বিভিন্ন অপকর্মের হোতা ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সুজনের(৩৫) নেতৃত্বে গোমনাতীতে আগুন খাওয়া সন্ত্রাসী দলের ছিনতাই কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। সুজনের দাপটে গোমনাতী এখন থরকম্প।আর সুজনকে লিড দিচ্ছে ডিমলার ফিরোজ সরকার নামের এক প্রভাবশালী বলে অভিযোগে জানা গেছে। অভিযোগ মতে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের গরু ব্যবসায়ীদের কাছে ডিমলার আগুন খাওয়া সন্ত্রাসী দলের এক প্রভাবশালী  দীর্ঘদিন ধরে চাঁদা দাবি করে আসছে। কিন্তু গরু ব্যবসায়ীরা চাঁদাদিতে অস্বীকৃতি জানালে ডিমলার আগুন খাওয়া সন্ত্রাসী দল ভিন্ন কৌশল অবলম্বল করে। তারা বালাপাড়ায় সোর্স নিয়োগ করে রাখে। এ অবস্থায় বালাপাড়ার ৫ গরু ব্যবসায়ী ডাঙ্গারহাট হতে ৯টি গরু ক্রয় করে চার লাখ ৫৫ হাজার টাকায়। ওই গরু গুলো সোমবার (১৩ মার্চ) ভোরে একটি ভটভটিতে করে দিনাজপুরের আমবাড়িহাটে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। যা সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে যায় আগুন খাওয়া সন্ত্রাসী দলের সদস্যরা। ওই খবরে ডিমলার আগুন খাওয়া সন্ত্রাসীরা গরু গুলো লুটের জন্য গোমনাতীর সুজনকে নির্দেশ দেয়। নির্দেশ পেয়ে গোমনাতীর সুজন তার দলবল নিয়ে ৯টি গরু বহনকারী ভটভটি আটক করে কৌশল অবলম্বনে  চারটি গরু লুট করে নিয়ে দলীয় প্রভাবে ৫টি গরু ভারতীয় আখ্যা দিয়ে গোমনাতী বিজিবি ক্যাম্পে খবর দেয়। বিজিবি এসে ভটভটি সহ ৫টি গরু তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়। ডিমলা বালাপাড়া বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানী কমান্ডার নায়েক সুবেদার আহম্মেদ কবির সাংবাদিকদের বলেন, ঘটনাস্থল থেকে ৫টি গরু উদ্ধার করা হয়েছে। অপর ৪টি গরু কিভাবে কারা নিয়ে গেছে তা জানা নেই। অপরদিকে গোমনাতী বিজিবি ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার নজরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে সাংবাদিকদের বলেন, ৫টি গরু কাস্টমের মাধ্যমে সোমবার বিকালেই নিলামে বিক্রি করা হয়। এদিকে নিলামে গরু ৫টি ক্রয়কারী মোস্তাকিম জানান তিনি সহ তার ব্যবসায়ী সঙ্গীরা নিলামে ভ্যাট সহ দুই লাখ ২০ হাজার ৭০০ টাকায় ক্রয় করেন। এদিকে অপর চারটি গরু লুটের ঘটনায় গরুর মালিকরা গরু ফিরে পেতে দেনদরার শুরু করে। এতে গরু লুটকারী গোমনাতীর সুজন লুটের গরু ডিমলার ফিরোজ সরকারের অনুমতি ছাড়া  ফেরত দিতে পারবে না বলে সাফ জানিয়ে দেয়। গরু লুটকারী সুজনের মতে ডিমলার ফিরোজ সরকার দুইটি গরু ফেরত দিতে চেয়েছেন। বাকী দুইটি গরু তারা খাবে। এ নিয়ে গোমনাতী ও বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানদ্বয় গরু ফেরতের চেস্টা চালায়। পাশাপাশি সাংবাদিকরা এ নিয়ে খোঁজ খবর নিতে থাকলে আগুন খাওয়া দলের সন্ত্রাসীরা সাংবাদিকদের দেখে নেয়ার হুমকী দেয়। এলাকাবাসী জানায় পরে ডিমলার ফিরোজ সরকার চারটি গরু ফেরত দেয়ার শর্তজুড়িয়ে ৬৫ হাজার টাকা দাবি করে। ফলে বাধ্য হয়ে ওই গরু ব্যবসায়ীরা  ৬৫ হাজার টাকা গোমনাতীর সুজনের হাতে বুঝিয়ে দিলে সুজন গতকাল সোমবার রাতেই লুটের চারটি গরু ফেরত দেয়। প্রিয় পাঠক ডিমলার আগুন খাওয়া সন্ত্রাসী দলের কার্যক্রম নিয়ে এর আগেও উত্তরবাংলাডটকমে একাধিক সংবাদ প্রকাশ পেয়েছে। সম্প্রতি ডিমলায় এই দলের সন্ত্রাসীরা এক ধান ব্যবসায়ীর দুই লাখ টাকা ছিনতাই করে। ভাংচুর করে মোটরসাইকেল। এখন এই দলের কার্যক্রম শুরু হয়েছে পার্শ্ববর্তী ডোমার উপজেলার গোমনাতীতে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছে ওই সুজন।   কে এই সুজনডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এই সুজন। তার ভাল নাম আইনুল হকবর্তমানে ডোমার উপজেলার ছাত্রলীগের কমিটি ভেঙ্গে দিয়ে শুধু মাত্র সভাপতি ও সাধারন সম্পাদক রাখা হলেও সুজন এখনও সাংগঠনিক সম্পাদকের পরিচয় দিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড পরিচালনা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ডোমারের বেশ কিছু ছাত্রলীগের নেতাকর্মী অভিযোগ করে জানায় সুজনের অপকর্মে তারা সহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে। সুজন এলাকায় প্রচার করে সে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক নোহেল রানার ঘনিষ্ট বন্ধু। জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকের নাম ভাঙ্গিয়ে সুজন একাধিক অপকর্ম চালিয়ে গেলেও নোহেল রানা এ সবের কিছুই জানেন না।  এখন সুজন ডিমলার আগুন খাওয়া সন্ত্রাসী দলের সম্প্রসারিক গোমনাতী এলাকা টিম লিডারের দায়িত্ব পালন করছে।  সেখানে তার নেতৃত্বে একাধিক সন্ত্রাসীর জন্ম হয়েছে। এলাকাবাসী জানায় সুজন  ডিমলা হাসপাতালের সাবেক ফার্মাসিস্ট আব্দুর রউফে ছেলেতাদের বাড়ি ওই গোমনাতীতেই অভিযোগ মতে ২০১৪ সালের ২৭ মার্চ সুজনের নেতৃত্বে , ডিমলা উপজেলার ছাতনাই বালাপাড়া গ্রামের ডাঙ্গার হাটে মুদি ব্যবসা মুশাউল করিম সুইটকে পিস্তল ঠেকিয়ে দুই লাখ টাকা ছিনতাই করেছিল। ঘটনার দিন  রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরার পথে হাটের পাঁচশ গজ দুরে ছাত্রলীগ নেতা সুজন তার সহযোগী রুহুল ও অপরিচিত একজনসহ তিন জন তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ব্যবসার দুই লাখ টাকা ছিনতাই করে নেয়। ছিনতাইকারীরা টাকা নিয়ে চলে যাবার সময় পিস্তলের একটি ফাঁকা গুলি ছুড়ে সটকে পড়ে। গুলির শব্দে এলাকার লোকজন ছুটে এসে ছিনতাইকারীদের চিনতে পারে এবং গুলির খোসাটি উদ্ধার করে পুলিশ কে দেয়।ঘটনা খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে যায়।এরপর অভিযান চালিয়ে ২৮ মার্চ/২০১৪ ভোরে সুজন ও তার সহযোগী রুহুল আমিন কে গ্রেফতার করছিল ডিমলা থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ডিমলা থানায় মামলা হয় (মামলা নম্বর-১২)। কিন্তু দলীয় প্রভাবে ওই মামলাটি খুব একটা আলোর মুখ দেখেনি। এ ঘটনার আগে ওই সময় গত ১০ মার্চ উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের আশাদগঞ্জ বাজার সংলগ্ন এলাকা থেকে মোবাইল ফোন ব্যবসায়ী স্বপন কুমার রায়ের নগদ ৭১ হাজার ৪৫০টাকা, ২৯ হাজার ৫শ টাকা গ্রামীন ফোনের রিচার্জ কার্ড, ছয়টি মোবাইল ফোনও  ছিনতাই করেছিল সুজন। এঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হলেও (মামলা নম্বর-৬) সেই মামলাও থমকে যায়। এলাকাবাসীর অভিযোগ জামিনে বেরিয়ে এসে সুজন এখন পুনরায় অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় সীমান্ত গলিয়ে তার মাধ্যমে অবৈধভাবে ফেন্সিডিল,গাঁজা, মদ নিয়ে আসা হচ্ছে। অনেকে অভিযোগ করেন সুজনের নিকট অবৈধ অস্ত্রের চালানো রয়েছে। তবে এর সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এলাকাবাসী শুধু সুজন নয়- আগুন খাওয়া সন্ত্রাসী দলের হাত হতে রক্ষা পেতে চায়। এ ব্যাপারে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজল কুমার ভৌমিকের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি জানান সুজন এখন ডোমার উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নয়।  

মন্তব্য করুন


 

Link copied