আইনজীবী ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের জুনের প্রথম দিকে রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক অবসরে যান। এ আদালতে এরপর আর কোনো বিচারক আসেননি।
এ কারণে দিনের পর দিন নতুন মামলা করাসহ প্রতিদিনের মামলার শুনানি সম্ভব হচ্ছে না। বিচারাধীন ৬ হাজার মামলার বিচারকাজেও অচলাবস্থা দেখা দিয়েছে।
পীরগাছা থেকে আসা হজরত আলী নামের এক ব্যক্তি বলেন, তাঁকে ২০০৪ সালের একটি মামলায় আদালতে হাজিরা দিতে হচ্ছে। এখন বিচারক না থাকায় শুধু আসা-যাওয়া হচ্ছে। বেহুদা ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে।
মিঠাপুকুর থেকে মামলার হাজিরা দিতে আসা নূরুজ্জামান বলেন, ‘আমি এমনিতেই ২০০৫ সাল থেকে হাজিরা দিতে দিতে হয়রান হয়ে পড়েছি।’ প্রায় একই ধরনের মন্তব্য করেন পীরগাছা থেকে আসা বিচারপ্রার্থী আবদুস সোবহানসহ আরও অনেকে।
রংপুরের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম এ বাশার বলেন, এ জেলায় নারী নির্যাতনের মামলা এমনিতেই বেশি। অনেক মামলা বিচারাধীন। কিন্তু বিচারক নেই। এতে বিচারপ্রার্থীদের ভোগান্তির সীমা নেই।
রংপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিশেষ পিপি রফিক হাসনাইন বলেন, এই আদালতে প্রায় ৬ হাজার মামলা বিচারাধীন। এখানে জরুরি ভিত্তিতে বিচারক দেওয়া দরকার।
জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক বলেন, ‘বিচার না থাকার বিষয়টি সমিতির পক্ষ থেকে মন্ত্রণালয়ে জানানো হয়েছে। শুনেছি উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কবে নাগাদ বিচারক আসছেন, তা জানা যায়নি।’